মেহেরপুর: পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। উচ্ছ্বসিত মেহেরপুরের কৃষক ও কৃষির সঙ্গে জড়িতরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মেহেরপুর জেলার কৃষি ও ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে কৃষি ও পরিবহনখাত।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের মেহেরপুর জেলার শাখার সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক বলেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী আমাদের কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে পণ্য কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হলে কৃষকরা সরাসরি মূল মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত হবেন। তখন দামটাও তারা ভালো পাবেন।
মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে মেহেরপুরের সবজি, ধান, পাটসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য সহজেই দেশের বাজারে পৌঁছে যাবে। ফলে এ জেলার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি শক্ত হবে।
মেহেরপুর ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম রসুল বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে জেলার মানুষের ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলবে। এটা আমাদের জন্য শুভ লক্ষণ। পাটুরিয়া ঘাটে জ্যামে পড়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো। কাঁচা সবজি পচে যেত। এখন আর তা হবে না। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
মেহেরপুর তহবাজার কমিটির মালিক মোহা. হানিফ উদ্দীন বলেন, আমরা এতদিন কাঁচামাল নিয়ে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে যে জ্যামের শিকার হতাম, সেটা দূর হবে। সেতুটি খুলে দেওয়ার সাথে সাথে যশোর, বেনাপোল, খুলনাসহ ওই এলাকার গাড়িগুলো সরাসরি সেতু হয়ে যাবে। তখন পাটুরিয়া ঘাটে জ্যামটাও কেটে যাবে। আমাদের গাড়িগুলোর ফেরি সুবিধাও বাড়বে।
গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষী মহিবুল ইসলাম ও তহসেন আলী বলেন, সারা বছরই এ গ্রামের কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করে থাকেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয় বলে পাইকাররা কৃষকদের পণ্যের ভালো দাম দিত না। এখন চাইলে কৃষকরাও সরাসরি বাজারে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
নিউজ ডেস্ক