ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভারতীয় ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের হয়রানিতে বাংলাদেশিরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২২
ভারতীয় ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের হয়রানিতে বাংলাদেশিরা

বেনাপোল (যশোর): ভারত ভ্রমনে বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের ভারতীয় ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের হয়রানিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে করে রোদ বৃষ্টিতে নো ম্যান্স ল্যান্ডে দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে পাসপোর্ট যাত্রীদের।

 

বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে ৫টার সময় নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় ৫০০-৬০০ পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়।  

এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, দুই দেশের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কেউ যাতে এখানে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নো ম্যান্স ল্যান্ডে ভারতে প্রবেশে অপেক্ষায় থাকা পাসপোর্ট যাত্রীরা জানান, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন হয়ে নো ম্যান্স ল্যান্ড পর্যন্ত আসতে তাদের দুই ঘন্টা সময় লেগেছে। কিন্তু তারা নো ম্যান্স ল্যান্ডের মধ্যেই দুই ঘন্টার অধিক সময় ধরে অপেক্ষায় থেকেও ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে তারা আর কয় ঘন্টা আপেক্ষা করলে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন।

ভারত ভ্রমন শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা জানান, ভারতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিটি পাসপোর্ট যাত্রীর করোনা টেস্ট করে ভারতীয় ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করাছে। এর পর ইমিগ্রেশনেও পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে অধিক সময় নিচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। এতে করে এক জন পাসপোর্ট যাত্রীর স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশ করতে সময় লাগছে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এতে করে তাদের বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করতে ৭-৮ ঘন্টা সময় লাগছে।

ভারত থেকে ফেরত আসা দিবস সরকার জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য প্রায় দশ বছর ধরে বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দর দিয়ে ভারতে যাতায়াত করছে। ইদানীং ভারতের অংশে ইমিগ্রেশন কাস্টমস ও বিএসএফের অনিয়মে কেউ প্রতিবাদ করলে কিংবা কোনো ব্যাপারে প্রশ্ন ছুড়লে তার পাসপোর্ট আটকে রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তি দেয়। বয়স্ক মানুষও এ থেকে রেহাই পান না। আবার কোনো পাসপোর্ট যাত্রী না বুঝে কিছু জানতে চাইলেও দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয় তার।

বেনাপোল স্থলবন্দর সহকারিপরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈ জানান, গত মাসে ভারতীয় হাইকমিশন পর্যটন ভিসা চালু করেছে। এতে চলতি মাসে বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত বেড়েছে। এছাড়া ঈদের ছুটি থাকায় ভ্রমন পিপাসুরা এখন ভারত ভ্রমনে যাচ্ছে। এতে করে পাসপোর্ট যাত্রীর চাপ বেড়েছে বলে জানান তিনি।  

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, ঈদের ছুটি থাকায় ভারত ভ্রমনে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা। এতে যাত্রীর চাপ বেশি হওয়ায় তাদের কাউন্টারের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছেন। যাতে করে যাত্রীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করতে পারে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও ক্যান্সার আক্রান্তদের আলাদা কাউন্টারে সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৯ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২২
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।