বরিশাল: বরিশালের বাকেরগঞ্জে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।  

সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় হত্যা মামলার ১৪ নম্বর আসামি মনির হাওলাদার ও তার স্ত্রী কুলসুম বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন জানান, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ফরিদপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে মামুন মেম্বার ওরফে হাতকাটা মামুন এবং রনি মোল্লার লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মামুনের সহযোগীরা রনি মোল্লা ও তার দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে রনিকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হলে তাৎক্ষণিক হত্যা মামলার আসামি সাইফুল মৃধাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।  

এর ধারাবাহিকতায় বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার রাতে শার্শী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তারিক হাসান রাসেলের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাপুর গ্রামে হত্যা মামলার ১৪ নম্বর আসামি মনির হাওলাদারকে গ্রেফতার করতে গেলে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কৃষ্ণ কান্ত মিত্রর মাথায় কোপ দিয়ে জখম করেন। পরে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং মনিরের সহযোগীরা পুলিশের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায়। এরপর আহত এএসআইকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের- ই বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( বাকেরগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত সরকার জানান, আসামি ছিনিয়ে নিতেই মুলত মনিরের স্ত্রী পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি মনির হাওলাদারসহ তার স্ত্রী কুলসুম বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কুলসুমকে প্রধান আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
এমএস/এনটি