ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মিল্কী হত্যার প্রতিশোধ নিতেই টিপুকে খুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২২
মিল্কী হত্যার প্রতিশোধ নিতেই টিপুকে খুন গ্রেফতার আসামিরা

ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৩)। গ্রেফতারদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডও রয়েছেন।

শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেফতাররা হলেন- ওমর ফারুক (৫২), আবু সালেহ শিকদার (৩৮), নাছির উদ্দিন (৩৮) ও মোরশেদুল আলম (৫১)।

অভিযানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নজরদারীর কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হত্যার জন্য দেওয়া ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে রাজধানীর গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মিল্কী হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। গ্রেফতাররা মিল্কীর সহযোগী ছিলেন। মিল্কী হত্যার সঙ্গে টিপু জড়িত ছিলেন বলে গ্রেফতাররা সন্দেহ করতেন। মিল্কী হত্যার মামলার এজহারে টিপুর নামও দেন গ্রেফতাররা। কিন্তু বিচারিক কার্যক্রমে টিপুর নাম বাদ পড়ায় গ্রেফতারদের মনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

মিল্কী হত্যার তিন বছর পর টিপুর ঘনিষ্ট সহযোগী কালামের ছেলে রিজভী হাসান ওরফে বোচা বাবুকে হত্যা করা হয়। গ্রেফতাররা বোচা বাবু হত্যা মামলায় চার্জশিট ভুক্ত আসামি ছিলেন। মিল্কী হত্যাকাণ্ড ও বোচা বাবু হত্যা মামলার আক্রোশে আন্ডারওয়ার্ল্ড ও আন্ডারগ্রাউন্ডের মাধ্যমে কিলার সুমন শিকদার মুসার সমন্বয় ও পরিকল্পনায় টিপুকে হত্যা করা হয়।

র‍্যাব জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে বিরোধ ছিল। মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছিল। এছাড়া এলাকার আধিপত্য বিস্তারসহ মামলা সংক্রান্ত বিষয়েও টিপু ও গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। আর এসব দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই টিপুকে হত্যা করা হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, টিপুকে হত্যা করার জন্য ১৫ লাখ টাকা বাজেট করে পরিকল্পনাকারীরা। আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন মুসার ওপর দায়িত্বে আসে টিপুকে হত্যা করার। ঘটনার ১২ দিন আগে মুসা দুবাই চলে যান। সেখানে বসে তিনি কিলার নিয়োগ করা থেকে শুরু করে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২২
এসজেএ/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।