ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তিন বছর ধরে এদিনের অপেক্ষায় ছিলাম: এসি রবিউলের মা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
তিন বছর ধরে এদিনের অপেক্ষায় ছিলাম: এসি রবিউলের মা  এসি রবিউল করিমের মা করিমুন নেছা। ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: গুলশানে চাঞ্চল্যকর হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রবিউল করিমের মা করিমুন নেছা বলেছেন, তিন বছর ধরে এদিনের অপেক্ষায় ছিলাম। আজকে যে রায় হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। শিগগির এ রায়ের বাস্তবায়ন হোক এখন এটাই চাওয়া। 

করিমুন নেছা বলেন, এ রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলে মনের ভেতরের বেদনাটা কিছুটা হলেও লাঘব হবে। আমি যেন এ রায়ের বাস্তবায়ন দেখে মরতে পারি।

এ রায় কার্যকরের মাধ্যমে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।  

বুধবার (২৭ নভেম্বর) চাঞ্চল্যকর হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এসি রবিউল করিমের পরিবারের স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। তারা বলছেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।  

সন্ত্রাসী হামলা মামলায় আট আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত এবং বেকসুর খালাস পেয়েছেন একজন।

আরও পড়ুন>>>ক্ষত পূরণে সাহায্য করবে এই রায়: এসি রবিউলের ভাই

শহীদ রবিউল করিমের ছোট ভাই শামসুজ্জামান সামস বাংলানিউজকে বলেন, এ মামলার রায়ের মাধ্যমে আইনের সু-শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রায়ে আমার পরিবারের সদস্যরা খুশি হয়েছেন। এখন আমরা চাই এ রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হোক।

শহীদ রবিউল করিমের প্রতিবেশী মোবারক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ রায়ে আমরা অনেক খুশি হয়েছি। এখন এ রায় দ্রুত কার্যকর হলে আমাদের মনের জমানো কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির (আত্মঘাতী) সদস্যরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

একই বছরের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান।

এক বছরের বিচারকালে মামলার মোট ২১১ জন সাক্ষীর ১১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১৭ নভেম্বর এ মামলার বিচারকাজ শেষ হয়। ওইদিনই আদালত রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন>
**
আদালতে হলি আর্টিজান মামলার আসামিরা
**হলি আর্টিজানে হামলার পর বদলে গেছে গুলশানের নিরাপত্তা
**গুলশান হামলা: আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি পরিবারের
**‘দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতেই হলি আর্টিজানে হামলা’
**যেভাবে সফল হয় ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ট’
**এখন যেমন গুলশানের সেই হলি আর্টিজান বেকারি
**এজলাসে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত, থাকবেন বিদেশি পর্যবেক্ষক
**আদালত এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা
**আদালত এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড়
**আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চান সাধারণ মানুষ
**হলি আর্টিজান হামলার ‘নীল নকশা’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।