মঙ্গলবার (১৯ জুন) সকালে ডিসি রোডের খেয়াঘাট সংলগ্ন কারখানা নদী থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সজিব জানান, ভোর ৪টার দিকে কারখানা নদী থেকে প্রথমে নবম শ্রেণির ছাত্রী ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফরিদপুরের বাসিন্দা ফিরোজ খানের ১৪ বছরের মেয়ে লিনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর বেলা পৌনে ১১টায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের জামালকাঠির বাসিন্দা আল মামুনের ৪ বছরের শিশু হাফসার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এসএম শফিকুর রহমান জানান, এলাকাটি নদী ভাঙন কবলিত। আর নদী ভাঙনের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও দুইজন নিখোঁজ হওয়ার খবর ছিলো। তবে মরদেহ উদ্ধারের আগে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ নলুয়ার হিরনের ছেলে রিপন (১৮)ও ফরিদপুরের জামাল চাপরাশির ছেলে ইমরানের (১৫) সন্ধান পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সেই হিসেবে আর কারো নিখোঁজ থাকার খবর আমাদের কাছে নেই।
তবে স্থানীয়দের মতে রিপন নামে এক যুবক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
গত রোববার (১৭ জুন) দুর্ঘটনার আগে ডিসি ঘাট থেকে ট্রলারটি ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে কারখানা নদী পাড়ি দিয়ে শিয়ালগুনি ঘাটে যাওয়ার কথা ছিলো। তবে নদীর পাড় ভেঙে পন্টুনে আঘাত হানলে ট্রলার উল্টে যায়।
এসময় যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠলেও চারজন নিখোঁজ হওয়ার খবর নিশ্চিত করে স্থানীয় প্রশাসন।
ট্রলারডুবির পর রোববার দুপুর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে সোমবার (১৮ জুন) সকাল থেকে নৌবাহিনীর একটি দল উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।
স্থানীয়দের দাবি, নিয়ম উপেক্ষা করে ট্রলার ঘাট থেকে না ছেড়ে পন্টুন দিয়ে যাত্রী ওঠানোয় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিয়ম উপেক্ষা করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে খেয়া পারাপারের বিষয়ে প্রশাসনের তদারকি চেয়েছেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
এমএস/আরআর