ঢাকা, রবিবার, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৬ মে ২০২৪, ১৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পরিবার ছাড়া ঈদ কষ্টের...

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
পরিবার ছাড়া ঈদ কষ্টের... ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানী ঢাকাতে যারা রিকশা চালক আছেন তাদের প্রায় সবাই দেশের বিভিন্ন জেলা থাকে আসা। ঈদ এলে অন্যদের মতো তারাও ঢাকা ছাড়েন। তবে কিছু রিকশা চালক আছেন যারা বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে ঢাকায় থেকে যান। আবার কেউ কেউ উ‍ৎসবের আগ মুহূর্তে আসেন ঢাকাতে।

যানজটমুক্ত ফাঁকা রাস্তায় বেশি ভাড়া পাওয়ার আশায় তারা থাকেন। এসময় ভাড়াও পান পর্যাপ্ত।

তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে বোনাসের খড়গ চলে সপ্তাহব্যাপী। এমন মৌসুমে রিকশা চালান শফি ও আজম। দু’জনের বাড়ি দুই জেলায় হলেও ২০ বছরের বন্ধুত্ব তাদের।

রোববার (১৭ জুন) দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোলাকুলিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরে এক সঙ্গে চা, সিগারেট খান। তাদের মতো আরো অনেকে আছেন যারা ঈদ করছেন ঢাকাতে।

মো. শফি পরিবার নিয়ে থাকেন খিলগাঁও চৌরাস্তায়। গ্রামের বাড়ি রংপুর। ঢাকা শহরে প্রায় ২০ বছর রিকশা চালান তিনি।

তিনি বলেন, প্রতি ঈদের আগেই গ্রাম থেকে ঘুরে আসি। ঈদের সময় রাস্তা ফাঁকা থাকে, আবার ভাড়ার রেটও বেশি তাই ঈদের ভাড়া ধরি।

প্রতিদিন কেমন ভাড়া হয় জানতে চাইলে শফি বলেন, এসময় দিনে প্রায় এক হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া হয়। কোনো কোনো দিন বেশিও হয়। অন্য সময় ভাড়া কম হয় তাই এখানে এই ভাড়াটা মারি।

আজম আলী থাকেন উত্তর গোড়ান। গ্রামের বাড়ি যশোর। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদে বাড়ি যাই। রোজার ঈদে ভাড়া বেশি হওয়ায় এসময় থেকে যাই। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকা ভাড়া হয়।

গ্রামের মানুষ, পরিবার ছেড়ে এখানে ঈদ করতে কেমন লাগে এমন প্রশ্নের জবাবে আজম বলেন, গ্রামের সঙ্গে শহরের তুলনা হবে না। সেখানে সবাই আন্তরিক। ঈদে একজন অন্যজনের বাড়িতে যায়। অন্য রকম আনন্দ হয়, যেটা শহরে নেই। এখানে শখের বশে না, টাকার প্রয়োজন থাকি। একটু কষ্ট হলেও মেনে নিতে হয়।

আয়ুব আলী নামে অপর রিকশা চালক শুধু ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় আসেন। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। তিনি গ্রামে কৃষি কাজ করেন।

তিনি বলেন, বছরের বেশির ভাগ সময় গ্রামে কৃষি কাজ করি। ঈদ এলেই ঢাকায় এসে রিকশা চালাই। এখানে এসময় ভাড়া বেশি পাওয়া যায়। বেশি সময় ধরে রিকশা চালালে দিনে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।

পরিবার ছাড়া ঢাকায় কেমন ঈদ কাটলো জানতে চাইলে আয়ুব বলেন, পরিবার, গ্রাম ছাড়া ঢাকায় ঈদ একটু কষ্টের। তবে টাকারও দরকার আছে।

তিনি বলেন, ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। গ্যারেজ মালিক পোলাও, সেমাই রান্না করেছিল, সেটা সবাই মিলে খেয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।