খুলনার অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্ট থেকে বাণিজ্যিক এলাকার ফুটপাত সব জায়গাতেই রকমারি ইফতার সামগ্রী। এমনকি পাড়া-মহল্লার গলিতেও খণ্ডকালীন ইফতার সামগ্রীর দোকান বসিয়েছেন অনেকে।
শুক্রবার (১৮ মে) প্রথম রমজানে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইফতার কিনতে ভিড় করছেন এসব দোকানে। তবে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম।
দুপুর যত বিকেলের দিকে গড়াতে থাকে ততই বাড়তে থাকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সমাবেশ। বাড়তে থাকে কোলাহল। জমে ওঠে থরে থরে সাজানো রকমারি ইফতার বিক্রির ধুম। ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসতেই বাড়ছে বিক্রেতাদের হাঁকডাক।
এদিকে হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল ক্যাসল সালাম, হোটেল সিটি ইন, কেওড়া ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টসহ প্রায় প্রতিটি রেস্তোরাঁয় পার্সেলের পাশাপাশি রয়েছে ইফতার করারও সুব্যবস্থা।
হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালের ইফতার বাজারের ম্যানেজার তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও রকমারি নামের ও মুখরোচক স্বাদের ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের ইফতার বাজারে মোট ৪০টি আইটেম বিক্রি হচ্ছে। ইফতারের রেডি প্লেট ১৭টি আইটেমের ৪শ’ টাকা। রয়েছে ডিনার ও ইফতার বক্সের ব্যবস্থা।
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে বিক্রি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিক্রি ভালোই হচ্ছে।
এছাড়া হোটেল ক্যাসল সালামে বসেছে ইফতার মেলা। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন আইটেমের ইফতার সামগ্রী।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কেওড়া ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক শরিফুল ইসলাম হিরণ বলেন, আমরা ইফতারের স্পেশাল কিছু আইটেম করেছি। মাল্টা, আনারস, কাঁচা-পাকা আমের জুস, ছোলা, ডিমের চপ, খিরাই, খেজুরসহ নানা ধরনের ইফতার আইটেম রয়েছে। তিন ধরনের প্যাকেজ আছে। একটা আড়াইশ’ টাকা, একটা দেড়শ’ আর একটা একশ’ টাকা। এছাড়া অর্ডার দিলে ইফতার তৈরি করে সরবরাহ করি।
কেওড়া রেস্টুরেন্টে ইফতার কিনতে আসা খুবির শিক্ষার্থী নাজমুল সাকিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ও খাবারের গুণগত মান ভালো হওয়ায় এখানে ইফতার কিনতে এসেছি।
তার মতো অনেকেই এখানে খুচরা ও রেডি প্লেটের ইফতার কিনতে আসেন বলে সাকিব জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
এমআরএম/আরআর