সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর এ তথ্য জানায়।
সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকালে স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে গাইবান্ধা সদরের ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ পুনর্নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীর ৩ প্লাটুন সদস্য ও ৫টি স্পিড বোটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রীসহ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও ১৯ পদাতিক ডিভিশন হতে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষক দল সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যা দুর্গত এলাকা কাজীপুর উপজেলার বাহুকায় দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে যে কোন সময় সেনাবাহিনীর আরো সদস্য বন্যা দুর্গত এলাকায় দ্রুততম সময়ে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার ও বাঁধ রক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলে সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যা কবলিত হলে সরকারের নির্দেশে জনস্বার্থে প্রাথমিকভাবে
গত ১২ আগস্ট শনিবার ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ১ প্লাটুন সেনাসদস্যকে ঠাকুরগাঁও শহরে মোতায়েন করা হয়। এই সেনাসদস্যরা রাতভর উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
পরবর্তীতে রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে প্রাথমিকভাবে দিনাজপুর সদর ও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ২ প্লাটুন করে সেনাসদস্য উদ্ধার কাজে মোতায়েন করা হয়।
বর্তমানে দিনাজপুর সদরে তিনটি প্লাটুন ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় এক কোম্পানি সেনাসদস্য বন্যা দুর্গত মানুষের সাহায্যে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া রোববার সৈয়দপুরে বাঁধ রক্ষা কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ২ প্লাটুন সেনাসদস্য নিয়োগ করা হয়। এই সেনাসদস্যরা সফলভাবে বাঁধ রক্ষার কাজ সম্পন্ন করে সন্ধ্যায় সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন করে। একই দিনে সেনাবাহিনীর তিনটি বিশেষ পর্যবেক্ষক দল গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও তিস্তা ব্যারেজ এ বন্যা দুর্গত এলাকা পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করে।
এছাড়াও, সেনাবাহিনী সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে বলে জানানো হয় আইএসপিআর এর প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে।
* গাইবান্ধায় ২৫ ইউনিয়নের ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
** গম-ভুট্টা-পাটক্ষেতের উপর দিয়ে চলছে নৌকা!
** চুইয়ে ঢুকছে পানি, যে কোনো মুহূর্তে ভাঙবে যমুনার বাঁধ!
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
আরআই