সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-পঞ্চানন্দ সড়কটি ভেঙে ১০ গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সিংড়িয়া এলাকায় দুটি অংশে গর্ত দেখা দিয়েছে।
এদিকে, ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন আতঙ্কে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানভাসীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া চার উপজেলার ১০৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাতটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক লেভেল ২০ দশমিক ৬০) ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক লেভেল ২২ দশমিক ৩৪) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক লেভেল ২৫ দশমিক ১৬) ও গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে করতোয়ার পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক লেভেল ২০ দশমিক ১৭) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির এ ধারা আরো তিন/চার দিন থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য এ পর্যন্ত ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত মানুষের নামের তালিকা তৈরীর জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এনটি