শেষ দিনে যাত্রীদের ভিড় যেমন কম ঠিক তেমনি বাসও ছাড়ছে সময় অনুযায়ী। তবে লোকাল বাসগুলো যাত্রী নিতে সময় নিচ্ছে বেশ কিছুটা।
গত তিন দিনের তুলনায় শেষের দিনে যাত্রীদের চাপ ৫০ ভাগ কমেছে বলে জানিয়েছেন, এসপি গোল্ডেন লাইনের টিকেট বিক্রেতা মাহবুব হোসেন রঞ্জু।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত চারদিন যাত্রীদের যে ভিড় ছিলো তার অর্ধেকেই আজ নেই। গতকাল রাত পর্যন্ত আমরা টিকেট দিতে হিমশিম খেয়েছি। আজ যারা আগে টিকেট কেটেছিলেন তারাই আসছেন। আর কিছু যাত্রী নতুন টিকেট নিচ্ছেন। আজ সারাদিনে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ১২টি বাস যাবে। সব শেষ রাত ১১ টা ১৫ মিনিটে যশোরের উদ্দেশে শেষ গাড়িটি ছাড়বে।
অন্যদিকে আগের টিকেট না পেয়ে এই ২৯ রোজায় কুমারখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাবতলী বাস টার্মিনালে এসেছেন জিন্নাত বেগম। বলেন, গত সপ্তাহে যখন টিকেট কাটতে এসেছিলাম তখন ২৮ রোজা পর্যন্ত কোনো টিকেট না পেয়ে ২৯ রোজার টিকেট কেটেছিলাম। বাচ্চাদের নিয়ে তো ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া যায় না।
অন্যান্য দিন যেখানে যাত্রীরা মোড়া বা ইঞ্জিন কাভারের জন্য টিকেট কেটেছিলেন আজ সেখানে সাধারন সিটের জন্যই যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে জানান সুমন ডিলাক্স এর কর্মকর্তারা।
তারা বলেন, গত চারদিন মোড়ার সিটের জন্য যাত্রীরা রীতিমতো কাড়াকাড়ি করেছেন। কিন্তু আজ বাসের সব সিটের টিকেট বিক্রিতেই আমাদের সময় লাগছে।
শেষ দিনের ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে নিম্নবিত্ত যাত্রীদের চাপই রয়েছে বেশি। গুলশানের একটি বাসার দারোয়ান রহিম মিয়া। বলেন, বেশি আগে ছুটি দিতে চান না মালিকরা। আজ রাতে ছুটি দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু অনুরোধ কইরা এখন রওনা দিছি।
রহিম মিয়ার মতো বাসার গৃহকর্মী, দোকানের কর্মচারী, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ নিম্নবিত্ত মানুষের চাপ লক্ষ করা যায় গাবতলীতে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
ইউএম/আরআই