শনিবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর ঢাকা থেকে বিশেষ এই টিম সাভারে এসে পৌঁছায়। শুরু হয় দ্বিতীয়দিনের অভিযান।
সূত্রে আরও জানা যায়, বাসা থেকে তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও সাতটি হ্যান্ড গ্রেনেড মিলেছে। সেখানে আরও কী পরিমাণ বিস্ফোরক আছে তা এখনও জানা যায়নি। অভিযান শেষ হলে তথ্য মিলবে।
এর আগে ওই বাড়ির আশপাশ থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সও নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া আশপাশে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা-১৯ আসনের সাংসদ ডা. এনামুর রহমান। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জামায়াত-শিবির জড়িত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে শুক্রবার (২৬ মে) রাত থেকে সাভার নামাগেন্ডা এলাকায় একটি ছয়তলা বাড়ি ঘেরাও করে রাখে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। বাড়িটিতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক আছে বলে তাদের ধারণা।
রাতে ওই বাড়িটি ঘেরাও করার আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একই এলাকায় অপর একটি পাঁচতলা বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশ। তবে ওই বাড়িটিতে সন্দেহভাজন জঙ্গি কিংবা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়নি।
এরপর বর্তমান বাড়িটিতে তল্লাশি শেষে সেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদের তথ্য জানায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তবে মধ্যরাতে অভিযান নয়; সকালে ফের শুরুর ঘোষণা আসে।
সাভার জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ২৭ মে, ২০১৭
জেডআর/এসএইচএন/আইএ