ঢাকা, শুক্রবার, ১ কার্তিক ১৪৩২, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু সহ্য করা হবে না: হাইকোর্ট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬:১৬, জুন ৬, ২০১০

ঢাকা: নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতনে আসামির মৃত্যু কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না বলে সংশ্লিষ্টদের আবারো সতর্ক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, “নিরাপত্তা হেফাজতে মানুষকে হত্যা করাকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

আদালত সাংবিধানিকভাবে জনগণের অধিকার রক্ষার শপথ নিয়েছে। ”  

চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এ সময় হাইকোর্ট সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “আদালতের আদেশ অমান্য করার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ”

অবশ্য পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

গত ১১ মে চট্টগ্রামে মানিক নামে এক নৈশপ্রহরী পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে সে খবর প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন আদালতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে রিট দায়ের করে।

ওই রিটের বিপরীতে ২৩ মে’র মধ্যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ১ জুন তাকে হাজির হতে বলা হয়।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ যথাযথভাবে না পৌঁছানোর কারণে সংশ্লিষ্টদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে আদালতকে অবহিত করেন তিনি।

শুনানি শেষে পুলিশ কমিশনারকে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

শুনানিতে বাদিপক্ষের কৌঁসুলি মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন যেকোনোভাবে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষা হবে না।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১০
জেএ/কেএল/ জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।