ঢাকা: বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি কে এম সোবহানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি দেশের ১০১ জন বরেণ্য নাগরিক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে গঠন করেন ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’।
১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ বেগম সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের দুষ্কর্ম অনুসন্ধানের জন্য গঠিত হয় ‘জাতীয় গণতন্ত কমিশন। ’ বিচারপতি কে এম সোবহান ছিলেন ১২ সদস্যবিশিষ্ট ওই গণতদন্ত কমিশনের অন্যতম। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালের ২৬ মার্চ এই কমিশন দুই দফায় ১৫ জন যুদ্ধাপরাধীর সম্পর্কে মাঠপর্যায়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুর পর তিনি ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদে’র সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
কেএম সোবহান বাংলাদেশ সোভিয়েত মৈত্রী সমিতি’ এবং ‘বাংলাদেশ ভারত সম্প্রীতি পরিষদে’র সভাপতি ছিলেন। ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটস’-এর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এ ছাড়া আরও অনেক সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বিচারপতি কে এম সোবহান ১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৪ জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ও এলএলবি পাশ করেন। লিনকন্স ইন্ থেকে ব্যারিস্টার-এট-ল পাশ করেন ১৯৫২। ১৯৫৬ সাল থেকে ঢাকা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা আরম্ভ করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে ঢাকা হাইকোর্টে বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ১৯৭২ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত বার্লিন এবং প্রাগে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।
৩১ ডিসেম্বর ২০০৭ সালে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান কেএম সোবহান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যা এবং অগণিত সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪