একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সরকারের বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওয়াদা। নির্বাচন কমিশনের ইতিহাস তৈরির সন্ধিক্ষণ।
কথার কথা নয়, ফেব্রুয়ারিতে সেই আয়োজনে চলছে নির্বাচন কমিশনের কর্মযজ্ঞ। এই দুয়ের ফাঁকে চলছে সেনাবাহিনীকে বিরক্ত-বিব্রত করার আয়োজন। এই উদ্দেশ্যবাদীরা কিঞ্চিত সফলও হয়েছে। র্যাব-ডিজিএফআইতে ডেপুটেশনে থাকা কিছু সেনা কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগে বাহিনীকে একটা ধাক্কা খাওয়াতে পেরেছে।
বক্তব্য ও ব্যাখ্যায় তা সামলানোর চেষ্টা করেছে সেনা সদর। দিতে হয়েছে জবাব।
যে সময় সেনা সম্পৃক্ততায় একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের প্রত্যাশার পারদ ছিল উঠতির দিকে, ঠিক সেই সময়ই এলো ধকলটি। এতে মহলবিশেষ পুলকিত।
কিন্তু চূড়ান্তভাবে এদের পুলকিত-উল্লসিত হওয়ার অবস্থা নেই। দুর্যোগ-দুর্বিপাকসহ জাতীয় নানা প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা করার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের বাইরে বিশ্বে কম দেশেই আছে। আবার সেনাবাহিনী নিয়ে অবান্তর কথা, আজেবাজে নেরেটিভ তৈরির প্রবণতাও বিশ্বে বিরল। বাংলাদেশে বিস্ময়করভাবে হিম্মত-সাহস-স্মার্টসেন দেখাতে গিয়ে সেনাবাহিনী নিয়ে হালকা কথা চালাচালির বাতিক রয়েছে। আরোপিত দোষারোপ, উড়িয়ে দেওয়া, গুঁড়িয়ে দেওয়া, ইট খুলে ফেলা, বিলুপ্ত করে দেওয়ার মতো কিছু একটা বলে কিছুদিন ঝিম মেরে থাকা মহলটি আবার তৎপর।
তাই সেনাবাহিনী নিয়ে আবারও তাদের আচানক-আজগুবি, রাতের ঘুম নষ্ট করা গুজবের হাট।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই চক্র বেশি তেজোদ্দীপ্ত। প্রায় প্রতিদিনই সেনাবাহিনী সম্পর্কে ছাড়া হচ্ছে কোনো না কোনো গুজববটিকা। কখনো সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বা সেনাপ্রধানের সঙ্গে তাঁর অধস্তনদের কল্পিত বিরোধের কিচ্ছা ছড়ানো হচ্ছে মুখরোচক করে। এবারের নির্বাচন একটি মহা ঈমানি পরীক্ষা নির্বাচন কমিশনের জন্য। নির্বাচনের মুখ্য দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হলেও তা কেবল তাদের একার নয়। এখানে প্রার্থী, ভোটার, রাজনৈতিক দল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ অংশীজন অনেক। ইসি অনেকটা রেফারির মতো। আর আম্পায়ারিংয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বলতে মানুষ আগে চেনে পুলিশকে। তারপর সেনা, র্যাব, বিজিবি, আনসার। বাস্তবতা হচ্ছে, পুলিশ এখনো ট্রমাগ্রস্ত। গেল সরকার আমলে নানা ক্রিয়াকর্মে পুলিশ হয়ে যায় জনতার প্রতিপক্ষ। ঘৃণার ওই জায়গা থেকে পুলিশ এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এর বিপরীতে সেনাবাহিনী চলে এসেছে আরো ভরসা ও আস্থার জায়গায়। কাজের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর এ জায়গায় উত্তীর্ণ হয়ে আসা বিশেষ মহলটির কাছে সহ্য না হওয়াই স্বাভাবিক।
গেল সরকার নির্বাচনকালীন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা থেকেই তাদের খারিজ করে দিয়েছিল। এবার আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২’ সংশোধন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে আবারও অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা আর প্রয়োগকারীর মধ্যে যথেষ্ট ফারাক আছে। ভোট দেওয়া ভুলে যাওয়া মানুষের বিশ্বাস, নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালনে সুফল আসবে। এই বিশ্বাস থেকেই ২০০১ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আরপিও সংশোধন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগগুলো বা সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কেবল জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই নয়, পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার ওই সংশোধনী অধ্যাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা থেকে প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগগুলোকে বাদ দেয়। এবার সেখানে আশাবাদের খবর। মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে—এ আশা ও নিশ্চয়তা গণতন্ত্রকামী যে কারোর জন্যই অত্যন্ত কাঙ্ক্ষিত। তাই নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। জন-আকাঙ্ক্ষার পারদেও টোকা পড়েছে। আন্তর্জাতিক মহলও আশা করে, আমাদের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের অভিপ্রায় সেই আশাবাদে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।
কোনো ব্যত্যয় না ঘটলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নেবে অন্তর্বর্তী সরকার—এই অপেক্ষায় নির্বাচনমুখী দল ও ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী মানুষ। এমন আগ্রহ ও আশাবাদ বরবাদ করতে তাই আগেভাগেই সেনাবাহিনীকে বিরক্ত ও জনগণের মুখোমুখি করার এজেন্ডা। চব্বিশের চেতনা সমুন্নত রাখতে, দেশকে গতিময় করতে সামনের নির্বাচনকে ঐতিহাসিক, প্রশ্নমুক্ত, অবাধ, সুষ্ঠু করতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিকল্প নেই। আর আইন-শৃঙ্খলার প্রতীক বলতে মানুষের সবার আগে চোখ যায় পুলিশের দিকে। পুলিশ কোন অবস্থায় আছে তা আর ব্যাখ্যা করে বলার দরকার নেই। সেখানে বিশেষ ভরসা সশস্ত্র বাহিনী। তারা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে মাঠে আছে বলেই জননিরাপত্তা আজকের অবস্থায় রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনের সময়ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়েই তারা মাঠে থাকবে, সুষ্ঠু নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কোরামিনে আগের মতো বা আগের চেয়ে আরো বেশি ভূমিকা রেখে তারা ইমেজকে আরো শাণিত করতে পারে।
টানা গত তিনটি নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে রাখা হয়েছিল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে সম্পৃক্ত করা হলে চিত্র ভিন্ন হতে পারত। এবার একদিকে জন-আকাঙ্ক্ষা, আরেকদিকে মাঠের বাস্তবতা বুঝে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর একটি সুযোগ ও বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত নির্বাচনগুলোর নানা ত্রুটিবিচ্যুতি, দখলবাজির পর ১৯৯১ সালে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের সুষ্ঠু নির্বাচনের সদিচ্ছা নিয়েও এমন ভাবনা ও সংশয় ছিল। উৎকণ্ঠা ছিল তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি রউফেরও। তবে বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সুষ্ঠু-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নজির তৈরি হয় ১৯৯১ সালে। ওই নির্বাচনে সেনাবাহিনীর নেপথ্য ভূমিকা উহ্যই ছিল। মাস কয়েক আগে, ওই সময়কার সেনাপ্রধান জেনারেল নূরউদ্দিন খান কিঞ্চিৎ মুখ খুলেছেন একানব্বইয়ের নির্বাচনে সেনাবাহিনীর নেপথ্য ভূমিকা নিয়ে। বলেছেন, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন একদিন তাঁকে বলেছিলেন, কোনো শোরগোলে বা ঘোষণায় দেশকে একটি চমৎকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তা সেনাশাসন দিয়ে নয়, সেনাবাহিনীর অধীনে বা তত্ত্বাবধানে নয়, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বেও নয়। নূরউদ্দিন খান যা বোঝার বুঝে নেন। পুলিশ থেকে শুরু করে আনসার পর্যন্ত সবার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে মিলিয়ে দিয়ে তিনি এমন একটা ম্যাজিক্যাল ব্যবস্থা করেন, যা ওই নির্বাচনটিকে ঐতিহাসিক মানদণ্ডে নিয়ে যায়। এরশাদ পতনের পর ১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে স্বাধীন দেশে প্রথম স্বাধীন নির্বাচনের স্বাদ পায় মানুষ।
প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সরকারের শরিক কয়েকজন এবার সেই মানদণ্ডে আরো ব্যতিক্রম আনার নজির গড়তে চান। সেখানে অন্যতম ভরসা সেনাবাহিনী। এ চেষ্টা ও আশাবাদ মালুম করে এখন থেকেই সেনাবাহিনীকে টার্গেট করেছে একটি মহল। তারা কোনোক্রমেই তা হতে দিতে চায় না। সেনাবাহিনীকে টার্গেট করে মূল টার্গেট নির্বাচনকে ভেজালে ফেলার কুবাসনা তাদের। বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের পর বিচারপতি হাবিবুর রহমান, লতিফুর রহমান, ফখরুদ্দীনদের তত্ত্বাবধায়ক জমানায় নির্বাচনের মোটামুটি একটি মডেল চলতে থাকে। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশে নির্বাচনী নাশকতা। হতে হতে ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ১৫৪ জনকে জয়ী ঘোষণার রেকর্ড। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে এবং ২০২৪ সালে এসে যোগ হয় ডামি-আমি মডেল। মহাপরাক্রমশালী হওয়ার পরও ছাত্র-জনতা তাদের বিতাড়ন করেছে। এ কাজে দেশপ্রেমের সারথি হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ প্রশ্নে সেনাবাহিনী আর সেনা থাকেনি, তারাও জনতা হয়ে গেছে।
জননিরাপত্তা, অনাকাঙ্ক্ষিত অরাজকতা প্রতিরোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের কারসাজি রুখে দেওয়া, মিলকারখানা সচল রাখা, রাষ্ট্রের কেপিআইভুক্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাগুলোকে রক্ষা, সড়ক-মহাসড়ক বাধামুক্ত রাখা, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, বিদেশি কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তা একেকটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মতো। মাদক কারবারি ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, বিভিন্ন চিহ্নিত অপরাধী ও নাশকতামূলক কাজের ইন্ধনদাতা-পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি কাজও সাফল্যের সঙ্গে করে চলেছে সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা একটি বহুমাত্রিক এবং গভীর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাহিনীর গৌরবময় আত্মত্যাগ ও নেতৃত্ব একদিকে যেমন জাতীয় পরিচয় নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, পরবর্তী সময়ে বারবার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এই গৌরবময় ইতিহাসকে বিতর্কিত করে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঘটনার পর এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে সশস্ত্র বাহিনী কেবল অংশীজন নয়, বিজয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারীও। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের একটি বক্তব্য গণমাধ্যমে ও জনমনে বাড়তি ভরসা জুগিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নতুন সরকার দেখতে চাই। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের কোনো ইচ্ছা নেই। স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব, কিন্তু রাজনীতির নেতৃত্ব রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত। ’
সেনাপ্রধান স্পষ্টভাবে আরো বলেছিলেন, ‘যথাশিগগির সম্ভব একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ’ জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের ওই শুভ কামনা তথা ওয়াদা বাস্তবায়নের পর্ব হচ্ছে আগামী নির্বাচন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান স্পষ্ট করার নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে চব্বিশের গণ-আন্দোলনের চূড়ান্ত বা মোক্ষম সময়ে। নির্বাচনেও সশস্ত্র বাহিনীর সম্পৃক্ততায় দেশের নতুন যাত্রা শুরুর অপেক্ষা গণতন্ত্রমনা মানুষ, ব্যবসায়ী, পেশাজীবীসহ শান্তিকামী সবার। সমান্তরালে এ স্বপ্ন বরবাদের অপচেষ্টাও। সেই অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই সেনাবাহিনীকে বিব্রত-বিভ্রান্ত-উত্তেজিত করতে অবিরাম ঢিল ছোড়া। সেই সব ঢিল কেবল রোখা নয়, নিজেদের ইমেজকে আরো উচ্চতায় নেওয়ার সুযোগ-সামর্থ্য দুটিই রয়েছে সেনাবাহিনীর। আর সেটির বিশেষ উপলক্ষ কাঙ্ক্ষিত-প্রত্যাশিত সুষ্ঠু নির্বাচনে ভূমিকা রাখা।
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন
এনডি