ঢাকা, শনিবার, ২ কার্তিক ১৪৩২, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

সত্যি হলেও বাস্তব নয়!

শাহজাহান মোল্লা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০৫, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪
সত্যি হলেও বাস্তব নয়! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: একটি দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার সবার জন্য খাদ্যে নিশ্চিত করা। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৩ বছর পরেও সবার জন্য সমভাবে খাদ্যে নিরাপত্তা কি নিশ্চত করা সম্ভব হয়েছে প্রশ্ন এদেশের তরুণ সমাজের।



তাই বাস্তবে না হলেও সত্যি সত্যি সংসদে পাস করা হলো খাদ্যে নিরাপত্তা আইন-২০১৪। তবে এ আইনটি জাতীয় সংসদে নয় পাস হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী হলে ইয়থ পার্লামেন্টে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সংসদ অধিবেশন বসার কথা। সেই অনুযায়ী অক্সফাম ও হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আগেই। সেমিনার হলের ভেতরে সাজানো হয়ে জাতীয় সংসদের অবয়বে সরকারি দল-বিরোধী দলের সদস্যদের আসন। রয়েছে আমন্ত্রিত অতিথিদের চেয়ারও। মিডিয়া কাভারেজের জন্য বসানো হয়েছে সাংবাদিক গ্যালারি।

সবই ঠিক, কিন্তু তবুও বাস্তব নয়। জাতীয় সংসদে আসন সংখ্যা সংরক্ষিতসহ ৩৫০ জন। কিন্তু ইয়থ পার্লামেন্টর সদস্য সংখ্যা ৬৪ জন। এখানে প্রতিটি জেলার একজন করে সদস্য অংশ গ্রহণ করেছে। এদের সবার বয়সই ১৬-২০ বছরের মধ্যে।
 
এ সংসদেই পাস হলো খাদ্যে নিরাপত্তা আইন-২০১৪। সত্যিকারের সংসদের মতো এখানেও সরকারি দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা বিলটির উপর বিস্তারিত আলোচনা চলে দীর্ঘক্ষণ ধরে। এখানেও রয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা, রয়েছেন মন্ত্রী এমপি। কিন্তু বাস্তবে এরা কেউ এমপি মন্ত্রী নন। এরা হলেন ইয়থ পার্লামেন্টের সদস্য। তবে ইয়থ পার্লামেন্ট হলেও এখানে কিন্তু জাতীয় সংসদের মতোই সংসদ নেতা ও বিরোধী দলীয় নেতা এবং স্পিকার নারী।

সংসদ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মালা মিত্র, বিরোধী দলীয় নেতা মাহবুব রামিশা। স্পিকারের ভূমিকায় ছিলেন, লাবণী সরকার। এখানেও স্পিকার অনেকের মাইক বন্ধ করে দিয়েছেন, কাউকে আবার সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন। ঠিক যে জাতীয় সংসদের একটি সেশনই চলছিলো ঢাবি’র সিনেট ভবনে।

জাতীয় সংসদের সমস্ত প্রসিডিউর অনুসরণ করেই চলে ইয়থ পার্লামেন্টর সেশনটি। খাদ্যে নিরাপত্তা আইন পাসের আগে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বিলটি এ সংসদে উত্থাপন করেন খাদ্য মন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ। পরে আলোচনা শেষে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন মন্ত্রী। এখানে যেন সত্যিকারের  সংসদের প্রতিধ্বনিত্ব হচ্ছিল। বোঝার উপায় ছিলো না এটা কোনো বাস্তব সংসদ অধিবেশন নয়। মনে হচ্ছিল এটি  সত্যি সত্যিই সংসদ অধিবেশন।
 
তবে জাতীয় সংসদের দু’জন প্রতিনিধি এ পার্লামেন্টেও ছিলো। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনও করেন। এছাড়া ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। ছিলেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখার দু’জন কর্তা ব্যক্তিও। ঠিক যেমন জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সময় স্পিকারের সামনে বসে যাবতীয় বিষয়াবলী লিপিবদ্ধ করেন এসব কর্মকর্তারা এখানেও ঠিক তেমনই মনোযোগের সঙ্গে যুব সংসদ সদস্যদের বক্তব্য শুনেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।