সাভার (ঢাকা): ঈদ যাত্রার প্রথম দিনে বিকেলের পর থেকে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ। ফলে সাভারের সড়ক মহাসড়কে ধীরগতির সৃষ্টি হয়।
বুধবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগর, বাইপাইল ও জিরানীবাজার বাস স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি স্ট্যান্ডেই অসংখ্য যাত্রী নাড়ীর টানে গ্রামে যেতে অপেক্ষা করছেন পরিবহনের। কিন্তু সড়কে দেখা নেই কোনো বাসের। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। নিরুপায় হয়ে তারা যাত্রা করছেন ট্রাক-পিকআপে।
নবীনগর বাস স্ট্যান্ডে বাসের জন্য ৩ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অবশেষে পিকআপে উঠেছেন আবু সুফিয়ান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকায় আমি কেরানীগঞ্জ থেকে নবীনগর আত্মীয়ের বাসায় উঠি। রাতে বাসে ওঠার জন্য অপেক্ষা করি। ভেবেছিলাম রাতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমবে। কিন্তু যাত্রী ও যানবাহনের চাপ এমন কমেছে যে এখন পরিবহন সংকটে পড়েছি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি। বাস না পাওয়ায় পিকআপে উঠেছি। ঈদ যাত্রার প্রথম দিনে এমনটা হবে ভাবিনি।
বাইপাইল বাস স্ট্যান্ডে পিকআপে উঠেছেন রোমান মাহমুদ। তিনি বলেন, আজ বিকেল অনেক মানুষ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। যানজটের ভয়ে রাতে গাড়িতে ওঠার সিদ্ধান্ত নেই। রাতে বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখি সড়ক ফাঁকা, কোন গাড়ি নেই। দুই একটি গাড়ি আসলেও তাতে আসন পাওয়া যায় না। এমন সময় পিকআপ যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে পিকআপেই উঠেছি। এই স্ট্যান্ড থেকে অনেকে ট্রাকেও গন্তব্যে রওনা হয়েছে।
পিকআপ চালক মোমিন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে পিকআপে করে গরু ঢাকায় এনেছিলাম। ফেরার পথে দেখি স্ট্যান্ডে অনেক যাত্রী, কিন্তু যাত্রীবাহী যানবাহনের সংকট। যাত্রীরা নিজেই জোরপূর্বক পিকআপে উঠে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে তাদের গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছি।
এব্যাপারে পরিবহন মালিক জিএম মিন্টু বলেন, আমাদের বাসগুলো আজ যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে চলে গেছে। স্ট্যান্ডে অনেক যাত্রী ছিল, তাই রাতের জন্য কোন গাড়ি অবশিষ্ট নেই। ফলে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। আগামীকাল পরিবহন গুলো ফিরে এলে আর পরিবহন সংকট থাকবে না।
এব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, বিকেল থেকে অতিরিক্ত যাত্রীর সাথে যানবাহনের চাপও বেড়ে যায়। রাত হওয়ার সাথে সাথে যাত্রী নিয়ে বাস গুলো সাভারের স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে দেয়। এখনও প্রায় প্রতিটা বাস স্ট্যান্ডে অনেক যাত্রী। কিন্তু সে তুলনায় সড়কে যাত্রীবাহী যানবাহন নেই।
এমএম