ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

শাহজালালে যাত্রীর মালামাল ছুড়ে ফেলার ব্যাখ্যা দিল বেবিচক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:০৫, জুন ৫, ২০২৫
শাহজালালে যাত্রীর মালামাল ছুড়ে ফেলার ব্যাখ্যা দিল বেবিচক

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর মালামাল, পাসপোর্ট ও অর্থ বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় ছুড়ে ফেলার ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বুধবার (৪ জুন) রাতে এক বিবৃতিতে বেবিচক জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ইলেকট্রনিক ও সামাজিক মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংঘটিত একটি ঘটনা বিভ্রান্তিকরভাবে ও অসম্পূর্ণ তথ্যের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে, যা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিভিল এভিয়েশন সংস্থার ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

'এ বিষয়ে সঠিক তথ্য ও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ উপস্থাপন' করে বেবিচক জানায়, ৪ জুন রাত ১টা ৩৬ মিনিটে বোর্ডিং ব্রিজ ৬- এ নিয়মিত নিরাপত্তা রাউন্ডের সময় দেখা যায় যে, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট: MH-196) যাত্রী মো. তুহিন আলী অশ্লীল ভাষায় চিৎকার ও গালিগালাজ করছেন। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের দুইজন প্রতিনিধি তাকে শান্ত করতে এবং তার পাসপোর্ট ও ব্যাগ বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি সহযোগিতা করেননি।

'উক্ত যাত্রী তার মালামাল, পাসপোর্ট ও অর্থ (মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত) বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় ছুড়ে ফেলেন এবং নিজের মা-বাবাকে নিয়েও অশালীন মন্তব্য করতে থাকেন। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং আশপাশে লোকজন জড়ো হতে থাকেন, যার ফলে ওই বোর্ডিং ব্রিজে অন্য একটি ফ্লাইটের স্ক্যানিং কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। '

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধি ও নিরাপত্তা টিমের সদস্যরা ওই যাত্রীকে আগমনী ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার ব্যাগেজ সংগ্রহের জন্য বেল্ট এলাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং ১ নম্বর বেল্টের দিকে গালিগালাজ করতে করতে চলে যান। ওই সময় তার আচরণ অস্বাভাবিক এবং অত্যন্ত আগ্রাসী ছিল।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর তার ভাই ও চাচার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান যাত্রী পূর্বেও মাদকাসক্ত অবস্থায় এমন আচরণ করতেন এবং তারা বৃষ্টির রাতে এসে তাকে নিতে পারবেন না। পরে, যাত্রী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে ভোর সাড়ে ৫টায় তিনি বিমানবন্দর থেকে চলে যান।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, সিভিল এভিয়েশন এবং সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স প্রতিনিধিগণ অত্যন্ত ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ঘটনার একাংশ ভিত্তিহীনভাবে এবং যথাযথ বিশ্লেষণ ছাড়াই প্রচারিত হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট যেকোনো সংবাদ প্রচারের পূর্বে ঘটনার প্রকৃত তথ্য যাচাই করে সংবাদ প্রচার করার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছে, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।