ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বাবা হত্যায় ছেলে খালাস, পুনঃবিচারের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
বাবা হত্যায় ছেলে খালাস, পুনঃবিচারের নির্দেশ

ঢাকা: ২০১৪ সালে বাগেরহাটের মোল্লাহাটের কোদালিয়া গ্রামে বাবাকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ছেলেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে, মামলাটি পুনরায় বিচারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

এ মামলার ডেথ রেফারেন্স, ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৭ মার্চ (রোববার) রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ ও শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী।  

পরে আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ জানান, ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামির আপিল মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। ফলে একমাত্র আসামি তুহিন কাজী খালাস পেয়েছেন।

তিনি আরও জানান, উচ্চ আদালত মামলাটি পুনরায় বিচারের (রিট্রায়াল) জন্য পাঠিয়েছেন। মামলাটির ট্রায়ালে ভুল ছিল। এ মামলায় অন্য কোন সাক্ষী নেই। আসামিকে ধরে নিয়ে এসে দোষ স্বীকার করিয়েছে। মারা গেছেন তার বাবা। তার চাচারা তাকে ধরে পুলিশে দিয়ে বলছে তিনি তার বাবাকে মেরেছেন। কিন্তু কে মেরেছেন এটা তো কেউ দেখেনি। আর তুহিন মাঝেমধ্যে মেন্টালি আপসেট থাকতেন। সময় সময় তাকে শিকল দিয়েও বেঁধে রাখা হতো। এসব বিষয়ে নিম্ন আদালত তাকে কোনো ধরনের পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়নি। যদি মস্তিষ্ক বিকৃত তাহলে খালাস পাবেন। আর ঠিক থাকলে রায় হবে। কিন্তু সেটা করা হয়নি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী জানান, মামলাটি পুনঃবিচারের জন্য বিচারিক আদালতে পাঠিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে আসামির  আপিল মঞ্জুর করা হলেও বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে রাখতে বলা হয়েছে।

পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট ভোর চারটায় তুহিন কাজী তার বাবা আবু সাঈদ কাজীকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় আবু সাঈদের মেয়ে সুমি আক্তার ভাই তুহিন কাজীকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট বাগেরহাটের বিচারিক আদালত তুহিনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২/আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।