ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বাস থেকে ফেলে হত্যা: চালক-সহকারীর যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
বাস থেকে ফেলে হত্যা: চালক-সহকারীর যাবজ্জীবন

ঢাকা: প্রায় ২৩ বছর আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অজ্ঞাতপরিচয় এক পথচারীকে জোর করে বাসে তুলে ফেলে দিয়ে হত্যার দায়ে চালক ও তার সহকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

রোববার (২৭ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জেসমিন আরা বেগম এ রায় দেন।

এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- চালক শওকত ওরফে সইক্যা ও সহকারি আক্তার হোসেন। দুই আসামিই পলাতক।

সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের পাটওয়ারী এ তথ্য জানান।

আসামিদের মধ্যে শওকত মুন্সিগঞ্জ জেলার বাযাইকান্দি গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে। আক্তার ফরিদপুরের মধুখালী থানার মসলন্দপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন শ্যামলী শিশু মেলার পাশে আগারগাঁও রোডে চালক রায়হানের রিকশায় ধাক্কা দেয় একটি মিনিবাস। এতে রিকশাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চালক ও সহকারী রিকশাচালককে ৫০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চায়। কিন্তু সেখানে উপস্থিত অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি এর প্রতিবাদ করে ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তখন চালক শওকতের নির্দেশে সহকারী আক্তার ওই ব্যক্তিকে শার্টের কলার ধরে জোর করে বাসে টেনে তুলে এবং চালক বাসটি চালাতে শুরু করে। এরপর ৫/৬ গজ সামনে যাওয়ার পর চালকের নির্দেশে সহকারী ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। গুরুতর আহত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা যান।  

এ ঘটনায় ওই দিনই মোহাম্মদপুর থানার উপ পরিদর্শক আলী আজম সিদ্দিকী একটি মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ১৬ অক্টোর দুই জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মহসিন।  
২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।