ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ফিরোজ আহমেদ কাজল (২৮) নামে এক যুবককে হত্যার অপরাধে ৮ জনের যাবজ্জীবনসহ প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলামের আদালতে ৫ আসামির উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার কলিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেনে ছেলে মাসুদ (পলাতক), ছের আলীর ছেলে সিদ্দিক, বড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নরুল ইসলামের ছেলে মাসুম মোল্লা (পলাতক), গাংনী উপজেলার হারাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আজগর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও মৃত শের আলী মোল্লার ছেলে মেসকাত আলী মোল্লা, দৌলতপুর উপজেলার সালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহম্মাদ বিশ্বাসের ছেলে সোহেল রানা ও কামাল হোসেনের ছেলে ওয়াসিম রেজা (পলাতক) এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস এলাকার বাসিন্দা মৃত লালন শেখের ছেলে জাকির হোসেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১২ জুলাই বিকেলে মিরপুর উপজেলা বাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ফিরোজ আহমেদ কাজল (২৮) মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি থেকে ভেড়ামারা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। এরপর দুইদিন ধরে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে কল করে পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কিন্তু কাজলের জীবিত অথবা মৃত কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বাবা বাদি হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ এনে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মিরপুর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম।    
 
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, দেরিতে হলেও এ মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সাজাসহ জরিমানা আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। ধার্যকৃত জরিমানার অর্থ পরিশোধ ব্যর্থ হলে প্রত্যেকে অতিরিক্ত আরও এক বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে এ মামলার যেসব আসামিদের সাজা দেয়া হয়েছে তাদের সবগুলির বিরুদ্ধে গত ২১ মার্চ বিজ্ঞ আদালত দৌলতপুর থানার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের দায়ে বিভিন্ন দণ্ডের আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। বৃহস্পতিবার ও গত সোমবারের রায়ের সময় যারা পলাতক ছিলেন সেসব আসামিরা আজও রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এদের কেউ কেউ হয়ত পুলিশ বা র‌্যাবের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে থাকতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।