ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যা, স্বামীর ফাঁসি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যা, স্বামীর ফাঁসি ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: রাজধানীতে যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শারমীন আক্তার হিয়াকে হত্যার দায়ে স্বামী সাইদুর রহমান ওরফে মিল্টনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস এ রায় দেন। জরিমানার টাকা অনাদায়ে মিল্টনকে তিন মাস কারা ভোগ করতে হবে।

ফাঁসির রায়ের সময় মিল্টনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পরে তাকে আবার নিরাপত্তার সঙ্গে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে হিয়ার সঙ্গে মিল্টনের বিয়ে হয়। এরপর মিল্টন হিয়ার কাছে তার বাবার বাড়ি থেকে এনে দেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। হিয়ার সুখের কথা চিন্তা করে তার পরিবার মিল্টনকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দেয়। এরপরও মিল্টন ক্ষান্ত হননি। আরও যৌতুক দাবি করেন। এমনকি হিয়াকে বিয়ের সময় দেওয়া ২০ ভরি স্বর্ণালংকারও মিল্টন বিক্রি করে দেন।

আরও যৌতুকের দাবিতে ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে মিল্টন হিয়াকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। আবার হিয়ার মরদেহের পাশে মিল্টন একটি চিরকুটে লিখেন ‘আমি আমার প্রভুর নির্দেশে স্ত্রীকে খুন করলাম’। পরে মিল্টন নিজে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। মামলার হওয়ার পর আসামি মিল্টন হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে।

নিহত হিয়ার চাচা শাহাদাত হোসেন সরকার মুকুল যৌতুকের জন্য হত্যার অভিযোগ এনে ওইদিনই রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম ২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৬ সালের ১ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

মামলাটির বিচারকাজের জন্য আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এমএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।