ঢাকা: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
ইমরান আহমেদের আবেদনে বলা হয়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৫ টাকা সম্পদ অর্জনসহ নিজ নামীয় পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৬ লাখ ২৩ হাজার ৭২৯ জমা ও ২ কোটি ৯৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৬ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে উক্ত রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং ১৯৮৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তদন্তকালে এজাহার নামীয় আসামি ইমরান আহমেদ নিজ নামে অর্জিত অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায়, তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান আবশ্যক।
অপর দিকে খালিদ মাহমুদের নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৭ টাকা এবং ১১টি ব্যাংক হিসাব ও ৫টি কার্ড হিসাবের মাধ্যমে মোট ১৩ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৫১০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে উক্ত রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি বর্তমানে তদান্তধীন। তদন্তকালে আসামি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান একান্ত আবশ্যক।
শুনানি শেষে বিচারক উভয় আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
কেআই/আরআইএস