ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

বার্লিন সম্মেলনে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
বার্লিন সম্মেলনে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত লিবিয়া সংকট সমাধানে জার্মানির বার্লিনে বিশ্বনেতাদের সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

লিবিয়া সংকট সমাধানে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত বিশ্বনেতাদের বিশেষ সম্মেলনে দেশটিতে স্বল্পকালীন যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দেশটিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাব ১৯৭০ অনুসারে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন তারা।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বার্লিন সম্মেলনের পর সবপক্ষের ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রকাশিত ঘোষণাপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

ঘোষণাপত্রে লিবিয়ায় যুদ্ধরত সব পক্ষকে তাদের মধ্যের সংঘাতের তীব্রতা কমানো ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য দ্বিগুন চেষ্টা করার আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়ার শুরুতে সংঘাতে লিপ্ত সব পক্ষের অথবা তাদের সমর্থনে সবধরণের সামরিক তৎপরতা লিবিয়ার সীমানা থেকে বন্ধ করতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। ’

সম্মেলনে অংশ নেওয়া পক্ষগুলো ঘোষণাপত্রে লিবিয়ার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় অখণ্ডতা ও ঐক্যের ওপর তাদের প্রতিজ্ঞার কথা ব্যক্ত করে।

একইসঙ্গে লিবিয়ার সংটকের তীব্রতা কমাতে দেশটিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাব ১৯৭০ অনুসারে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণাপত্রে প্রকাশ করা হয়।

পাশাপাশি এতে এ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বা যুদ্ধবিরতির সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এবং সংকটের তীব্রতাকে বাড়াতে পারে এমন যেকোনো কাজ থেকে সবাইকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান করা হয়।  

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতরেসের যৌথ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় আরও অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাকরন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানসহ অন্য নেতারা।

এদিকে লিবিয়ায় সংঘাতে লিপ্ত আন্তর্জাতিক স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী ফায়াজ আল-সাররাজ ও বিদ্রোহী জেনারেল খলীফা হাফতার জার্মানিতে উপস্থিত থাকলেও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেননি।

এর আগে ১২ জানুয়ারি তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় লিবিয়ায় যুদ্ধরত আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার ও বিদ্রোহী জেনারেল খলীফা হাফতারের বাহিনী। পরে রাশিয়ায় উভয়পক্ষ স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় বসলে কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই মস্কো ছাড়েন জেনারেল হাফতার।

২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন এবং বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।