ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংক এইচডিএফসি সংযুক্ত আরব আমিরাতে তদন্তের মুখে পড়েছে।
অভিযোগ, তারা সাধারণ মানুষের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ক্রেডিট সুইস বন্ড বিক্রি করেছিল।
এসব বন্ডের ঝুঁকি এত বেশি ছিল যে, ২০২৩ সালে ক্রেডিট সুইসের পতনের সময় এসব বন্ডের মূল্য শূন্যে নেমে যায়। ফলে অনেক গ্রাহক তাদের পুরো অর্থ হারান।
অভিযোগ উঠেছে, ব্যাংকের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের আর্থিক নথি জালিয়াতি করে তাদের ধনী গ্রাহক হিসেবে উপস্থাপন করেন।
ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনে ভুক্তভোগীরা আইনি অভিযোগ করেছেন।
দুবাইয়ের বরুণ মহাজন অভিযোগ করেন, তিনি তিন লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন, যা পুরোপুরি হারিয়েছেন। ব্যাংক তার নথিপত্রে ভুয়া তথ্য ব্যবহার করেছিল বলেও তিনি দাবি করেন।
আরেক ভুক্তভোগী জানান, তার অনুমতি ছাড়াই ব্যাংক তার নামে ঋণ দিয়েছে। কেউ কেউ বলেন, ব্যাংক খালি ফরমে সই নিয়ে পরে সেখানে ভুয়া সম্পদের তথ্য লিখে দেয়।
অনেকে বলেন, ব্যাংক বারবার তাদের মিথ্যা আশ্বাস দেয় যে, এই বন্ড নিরাপদ ও মূলধন সুরক্ষিত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব টাকা হারিয়ে তারা প্রতারিত হয়েছেন।
এইচডিএফসি ব্যাংক বলেছে, তারা নিয়ম মেনে কাজ করে এবং অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়। তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাদের পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য দিয়ে ফাঁদে ফেলেছেন।
এই ধরনের বন্ড অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ব্যাংক আর্থিক সংকটে পড়লে এসব বন্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে। ২০২৩ সালে এমনটাই হয়েছিল, যখন ক্রেডিট সুইসের বন্ড সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যায়। এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
আরএইচ