ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান ও স্থল হামলায় গাজায় রক্তপাত যেন থামছে না। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিনভর চলা বিভিন্ন এলাকায় বোমা বর্ষণ ও গোলাবর্ষণে কমপক্ষে আরও ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা বর্তমানে হামাসের আলোচনাকারীদল পর্যালোচনা করছে। এমন সময়ই আবারও হামলার ঘটনা ঘটছে।
গাজার বাসিন্দারা বলছেন, এ পরিকল্পনা নিয়ে বহু প্রশ্ন রয়ে গেছে—বিশেষ করে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী কেমন হবে, তা স্পষ্ট নয়। এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, ইতালি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যসহ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের এ হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৬৬ হাজার ৫৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং এক লাখ ৬৮ হাজার ৩৪৬ জন আহত করা হয়েছে। মৃত ও আহতদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে। হাজারো মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি অবরোধ ও বোমাবর্ষণের কারণে।
গাজার হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, পর্যাপ্ত ওষুধ, অক্সিজেন কিংবা বিদ্যুৎ না থাকায় অসংখ্য রোগী ও আহতকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। স্কুল-মসজিদ, শরণার্থীক্যাম্প, এমনকি জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রও হামলার বাইরে থাকছে না। শহরের পুরো অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ায় পানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্যের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘ ও রেড ক্রস এটিকে ‘২১ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
এএটি