ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প কি ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমা ফেলার কথা ভাবছেন? 

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৪৯, জুন ১৭, ২০২৫
ট্রাম্প কি ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমা ফেলার কথা ভাবছেন?  বি-২ বোমারু বিমান থেকে ফেলা হচ্ছে বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা। ফাইল ছবি

ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ স্থাপনায় বোমা হামলা চালাবেন কি না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়ত তা পর্যালোচনা করে দেখছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এর উদ্ধৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

   

এই স্থাপনাটি ধ্বংস করতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ‘বাঙ্কার ধ্বংসকারী’ বোমা এবং আমেরিকান বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করতে হবে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।

যদি তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যের একটি নতুন সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে — ইরানের সঙ্গে এমন একটি যুদ্ধে, যা থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দুইটি নির্বাচনী প্রচারে দূরে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, পত্রিকাটি প্রতিবেদনটিকে সংবাদ ‘বিশ্লেষণ’ হিসেবে উপস্থাপন করেছে , সংবাদ হিসেবে নয় এবং এই দাবির পক্ষে কোনো নির্দিষ্ট সূত্র উল্লেখ করা হয়নি যে এই ধরনের হামলার কথা বিবেচনাধীন রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ইরান-নীতি নিয়ে দুটি পরস্পরবিরোধী বিবৃতি সামনে এসেছে।

একটি ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কেবল আলোচনায় ফেরার দাবি জানাচ্ছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে এখনই কোনো হামলার পরিকল্পনা নেই।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় বিবরণ অনুযায়ী— যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে বিভিন্ন বক্তব্য ও মন্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরছেন— তাতে বোঝা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ট্রাম্প ইসরায়েলের পদক্ষেপকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছেন এবং মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রও কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বাস্তবতা আসলে কোনটা? তা আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না। কিন্তু কেবল দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটিই বাস্তব ঘটনার সঙ্গে মেলে।

ইরান এখনো ইসরায়েলের কোনো ধ্বংসাত্মক অভিযান চালাতে সক্ষম নয়, এমন এক পরিস্থিতিকে কল্পনাও করা যায় না যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাবে। যাদি কূটনৈতিকভাবে কোনও সমাধান না আসে, তবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলে চলমান যুদ্ধ থামবে বলে মনে হচ্ছে না।

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।