দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হতে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো পুরুষ ও নারী সাফ ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ)।
স্ট্যান্ডার্ড ফুটবলের বাইরে ফুটসাল এবং বিচ ফুটবলে এটিই হতে যাচ্ছে সাফের প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। শুরুতেই থাইল্যান্ডকে ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়ার পেছনে রয়েছে একাধিক বাস্তব কারণ। সাফের সাধারণ সম্পাদক পুরুষোত্তম ক্যাটেল বলেন, ‘আমাদের সদস্য দেশের বেশিরভাগের কাছে ফুটসাল আয়োজনের অভিজ্ঞতা নেই। থাইল্যান্ডে প্রয়োজনীয় ভেন্যু ও সাপোর্ট সিস্টেম রয়েছে। এছাড়া সাফের সাতটি দেশ থেকেই সরাসরি ফ্লাইট চলে সেখানে। এই সুবিধাগুলো মাথায় রেখেই থাইল্যান্ডকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, প্রথম টুর্নামেন্টে সব দেশ অংশগ্রহণ করুক। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বাস্তবতাও বিবেচনায় এসেছে। যেমন, ভারতের মাটিতে আয়োজন করলে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারত। ’
ফিফা নিয়মিতভাবেই ফুটসাল ও বিচ ফুটবলের আয়োজন করে এবং তাতে বিশ্বের বহু দেশ অংশ নেয়। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এই দুটি ফরম্যাটে এখনও পিছিয়ে। ফুটসাল নিয়ে ভারতে কিছুটা কাঠামো থাকলেও অন্য দেশগুলো এখনও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এই বাস্তবতায় সাফের উদ্যোগকে দেখা হচ্ছে একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে।
সাফ কেবল প্রতিযোগিতার আয়োজনেই থেমে থাকছে না, বরং ফুটসাল কোচিং ও রেফারিং নিয়েও আলাদা কোর্স চালু করবে থাইল্যান্ডেই। এতে অঞ্চলটির ফুটসাল অবকাঠামো ও সক্ষমতা দুইই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুরুষ ফুটসাল দল প্রথমবারের মতো গত মাসে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছে। যদিও অভিজ্ঞতা ছিল সীমিত, তারপরও এটা ছিল বড় মঞ্চে অভিষেক। নারী দলের ক্ষেত্রে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ২০১৯ সালে।
সাফ ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপ তাই বাংলাদেশের নারী ও পুরুষ উভয় দলের জন্য বড় সুযোগ হয়ে আসছে। একদিকে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ফুটসালে অবস্থান জানান দেওয়ার ক্ষেত্রেও এটি হতে পারে মাইলফলক।
এআর/আরইউ