৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এর আগেই তৈরি হয়েছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। হাইকোর্টের নির্দেশনার জটিলতায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের ঘনিষ্ঠ অন্তত ডজনখানেক ক্লাব বয়কটের চিন্তা করছে।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে নাম থাকা ১৫টি বিতর্কিত ক্লাব ভোটে অংশ নিতে পারবে না। মঙ্গলবার দেওয়া এই আদেশে তামিম ইকবালের সংশ্লিষ্ট ক্লাবটিও বাদ পড়েছে।
এর পরপরই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে তামিমপন্থী কয়েকটি ক্লাব। আজ রাতের বৈঠক থেকে কোনো সমঝোতা না হলে কালই তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামীকালই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং একই দিনে প্রকাশিত হওয়ার কথা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
এর আগে তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট থেকে উঠে আসা ১৮টি ক্লাবের মধ্যে ১৫টি ক্লাব বিতর্কিতভাবে ভোটার তালিকায় স্থান পেয়েছিল নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতিত্বকালে। যদিও তিনটি ক্লাব আবার নিচের বিভাগে নেমে যায়, বাকিগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট বেঞ্চ ভোটার তালিকায় ওই ১৫ ক্লাবের নাম অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম স্থগিত করে।
এদিকে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন শিবির মনে করছে, সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত সম্ভব নয়। ফলে ১২-১৩টি ক্লাব একযোগে নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটতে পারে।
এফবি