ঢাকা, শুক্রবার, ১১ আশ্বিন ১৪৩২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

শিবচরে নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:১০, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫
শিবচরে নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার রাসেল মাহমুদ সবুজ

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা এলাকায় রানু বেগম (৬০) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা রাসেল মাহমুদ সবুজকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার পাঁচ্চর চরকান্দি এলাকা থেকে মাদারীপুর র‌্যাব-৮ তাকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে র‌্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার রাসেল ঢাকার শেওড়াপাড়া এলাকার মৃত কাজী কেরামত আলীর ছেলে। তিনি নিহত রানু বেগমের ঘরের একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন।

র‌্যাব জানায়, প্রায় নয় মাস আগে রানু বেগমের বাড়িতে ভাড়া ওঠেন রাসেল। ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকার সময় একবার ওই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটলে রানু বেগম তাকে সন্দেহ করতে শুরু করেন।  এছাড়া চার মাস ভাড়া থাকার পর বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে রাসেল মাহমুদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়।

এ ক্ষোভ থেকেই গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে নিহতের ঘরের রান্নাঘরে গিয়ে অবস্থান নেয় রাসেল। পরে সুযোগ বুঝে ভোরে রানু বেগমের শোবার ঘরে ঢুকে ধারালো কাঁচি দিয়ে হাতে ও গলায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে নারীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাসেল।

র‌্যাবের তথ্যমতে, ওইদিন সন্ধ্যায় রান্নাঘরে গোপনে অবস্থান নেন রাসেল। রাত ১১টার দিকে তিনি ঘরে ঢুকে রানু বেগমের হাতে ও গলায় আঘাত করে হত্যা করেন। পরে ঘর থেকে দুটি মোবাইলফোন, কানের দুল, রাইস কুকার, কাপড়-চোপড় ও কিছু নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল হত্যার দায় স্বীকার করেছেন এবং জানান, লুট করা কানের দুল ও একটি মোবাইলফোন ইতোমধ্যে বিক্রি করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাঁচিকাটা এলাকার নিজ ঘর থেকে রানু বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারী ওই এলাকার মৃত সাদেক হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি ঘরে একা থাকতেন, তার এক ছেলে চাকরিসূত্রে পরিবারসহ ঢাকায় থাকেন। ঘটনার দিন সকালে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ না পেয়ে ছেলে প্রতিবেশীদের জানান। পরে তারা গিয়ে বাইরে থেকে ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান এবং জানালা দিয়ে ভেতরে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রানু বেগমের ছেলে খোকন হাওলাদার বাদী হয়ে শিবচর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, মামলার পরই র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে।  নিহতের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন আমরা উদ্ধার করি। গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তীব্র ক্ষোভ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।