সিলেট নগরের জন্য হকার একটি বড় সমস্যা। তাদের জন্য সিটি করপোরেশনের (সিসিক) একটি স্থানে শেড (ছাউনি) করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হকারদের পুনর্বাসনের জন্য নগরের লালদিঘিরপাড় মাঠ প্রস্তুতের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিসি।
সারওয়ার আলম বলেন, হকার হলো এই নগরের একটা বড় সমস্যা। সুতরাং কোনোভাবেই আমরা সড়কে তাদের অ্যালাউ করবো না। হকারদের কারণে দশ মিনিটের রাস্তা পার হতে আধা ঘণ্টা সময় লাগে। তাদের সড়ক ছাড়তেই হবে। সড়ক দখলে নিয়ে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ আইনত নেই।
জেলা প্রশাসক বলেন, নগরের লালদিঘিরপাড়ে সিটি করপোরেশনের (সিসিক) জায়গা আছে বলেই আমরা তাদের জন্য (হকার) শেড তৈরি করতে পেরেছি, এটি একটি বড় বোনাস। ফলে রাস্তায় ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। এখানে না আসলেও রাস্তা ছাড়তে হবে। এই জায়গা না থাকলেও হকারদের সড়ক ছাড়তে হতো।
হকার শেড পরিদর্শনে বিষয়ে তিনি বলেন, কাজ কতদূর এগোলো আমরা দেখতে এসেছি। আরও ১০ থেকে ১২ দিন লাগবে, ধারণা করা হচ্ছে। কাজ পুরোপুরি শেষ হলে একটা দিন নির্ধারণ করে এই সময়ের মধ্যে সড়ক ছেড়ে হকারদের চলে যেতে বলবো। এরপর না গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভিন্ন দাবিতে হকারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, এখানে আন্দোলন করার, দাবি জানানোর কোনো সুযোগ নেই। এখানে যে জায়গা পাচ্ছে সেটা তাদের জন্য বোনাস। তারা ব্যবসা করবে বিনা পয়সায়, কোনো জামানত ছাড়া। তাই এখানে বিল্ডিং করে দিতে হবে, এটা-ওটা করে দিতে হবে, এরকম কোনো দাবি জানানোর সুযোগ নেই। তারপরও তারা যাতে বেকার না হয়ে যায় তাই আমরা এ বিকল্প ব্যবস্থা করছি। আমরা চেষ্টা করছি এখানে যাতে মানুষজন আসে, ক্রেতারা আসে সেই ব্যবস্থা করে দিতে। তাই এখানে একটা রাস্তার জায়গায় তিনটি রাস্তা করে দিচ্ছি।
পরিদর্শনের সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনইউ/এমজে