পাবনা, (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদীতে তিনজনকে চাপা দেওয়া কাভার্ডভ্যানচালক মামুন হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের আলহাজ মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মামুন যশোরের বাঘারপাড়ার রায়পুরের রামকান্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
এর আগে বুধবার (১১ জুন) সকালে (নাটোর-পাবনা-কুষ্টিয়া) মহাসড়কে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী মুন্নার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ঈশ্বরদীর সলিমপুরের মিরকামারী গ্রামের আনিসুর রহমান (৫৫) নাটোর সদর উপজেলার আমহাঁটি গ্রামের মফিজুল ইসলাম স্ত্রী সুবর্ণা খাতুন (৩২) এবং শিশুকন্যা পূর্ণতা খাতুন ও আহত মোটরসাইকেলচালক নাটোর সদর জেলার আমহাঁটি গ্রামের আব্দুর আজিজ পাটোয়ারীর ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৮)
পাকশী হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাটোর-কুষ্টিয়া মহাসড়কে ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী মুন্নার মোড়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে লিচু বিক্রি করছিলেন স্থানীয় লিচু চাষি আনিসুর রহমান। এ সময় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ি কুষ্টিয়া থেকে নাটোরে আসছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মফিজুল ইসলাম। পথে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে লিচু কিনছিলেন তিনি। মোটরসাইকেলে শিশুকন্যা পূর্ণতাকে নিয়ে বসেছিলেন মা সুবর্ণা। এ সময় বেপরোয়া দ্রুতগতির একটি কাভার্ডভ্যান ওভারটেক করার সময় তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই লিচু বিক্রেতার মৃত্যু হয় ও মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মা ও মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মোটরসাইকেলচালকের অবস্থা অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ কাভার্ডভ্যান জব্দ করলেও চালক-হেলপার পলাতক ছিল। পরে মোটরসাইকেলআরোহী মফিজুলের বড় ভাই সিদ্দিক পাটোয়ারী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, ঈশ্বরদী পৌর এলাকার আলহাজ মোড় এলাকায় নেতার কাছে এসে মীমাংসার জন্য ঘোরাঘুরি করছেন কাভার্ডভ্যানচালক মামুন হোসেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (১৫ জুন) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
এএটি