ফেনী: ‘চাঁদা না পেয়ে’ এক চিকিৎসকের চেম্বারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের চক্ষু চিকিৎসক গোলাম রসুল সুমনের চেম্বারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ইকবাল হোসেন সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আড়কাইম গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির মৃত আবদুল খালেকের ছেলে।
চক্ষু চিকিৎসক গোলাম রসুল সুমন বলেন, কয়েকজন যুবক তার সাথে অশোভন আচরণ করে। তাকে মারতে উদ্ধত হয়ে চেম্বারে ও বাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগে এক মাস আগে কয়েকজন যুবক চেম্বারে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেছিল।
খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়া হামলার খবর পেয়ে বাংলাদেশ সমবায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বগাদানা ইউনিয়নের বাসিন্দা চিকিৎসক গোলাম রসুল সুমন প্রতিদিনের মতো নিজ বাড়িতে রোগী দেখছিলেন। এ সময় যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন, তার সহযোগী নুর হায়দার রাসেল ও নুর হায়দার রাজন চেম্বারে চিকিৎসকের সাথে অশোভন আচরণ করে।
এ সময় হামলাকারীরা বাড়ির দরজা-জানালা, সিসিটিভি, মনিটর, সিলিং ফ্যান, ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়। তারা ঘরে থাকা চিকিৎসকের বড় বোন বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বিবি মরিয়মকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে এবং তার মেয়ের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানায়, ঘটনার সময় কাছাকাছি অবস্থান করা বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা হাবিব উল্লাহ পারভেজ ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি সঠিক নয়। তবে রোগীর সিরিয়াল নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে ভাঙচুরের ঘটনা হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন্দ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএইচডি/এমইউএম/জেএইচ