ঢাকা, বুধবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৪ জুন ২০২৫, ০৭ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৫৯, জুন ২, ২০২৫
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙামাটির কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি ফসলের, ঘর বন্দি হয়েছে ওইসব এলাকার মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার কাউখালী, বাঘাইছড়ি পৌরসভা এলাকা, জুরাছড়ি, রাঙামাটির সদরের সাপছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল, নানিয়ারচর উপজেলার নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।  

কাউখালী উপজেলার কাউখালী খাল ও ইছামতি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকার দু’টি স্কুল, একটি কলেজ ও ২১টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরসহ অসংখ্য বাড়ি-ঘর ডুবে গেছে।  

উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, চারটি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ৬১টি পরিবারের ২১০জন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৫৫০ জন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৩২টি ঘর-বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এবং বেশ কয়েকটি পাহাড় আংশিক ধসে পড়েছে।  

বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, বাঘাইছড়ি পৌর এলাকার আশপাশে কয়েকটি গ্রামে পানি উঠেছে। উপজেলার ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজনের উপস্থিতি কম।  

রাঙামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আসমা বলেন, সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নে অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। ওই ইউনিয়নের প্রায় ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের স্কুল, বসত-বাড়ি ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি ফসল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মৈদং ইউনিয়নের জামুরাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শীলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে ওই উপজেলা ছয়দিন ধরে বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে।  

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো কেউ ওঠেনি।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাত পর্যন্ত ৬৭২ জন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় ৫৩টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৬৩ হেক্টর কৃষি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রেগুলোতে আশ্রয় নেওয়াদের তিনবেলা করে খাবার দেওয়া হচ্ছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের একাধিকবার বলা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে।  

এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।