ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

সড়ক নেই,  কাজে আসছে না ৬ কোটির সেতু!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৩৪, মে ২০, ২০২৫
সড়ক নেই,  কাজে আসছে না ৬ কোটির সেতু!

পঞ্চগড়: প্রায় ছয় কোটি টাকা খরচ করে পঞ্চগড়ে টাংগন নদীর ওপর বানানো সেতু। কিন্তু দুই দিকে কোনো রাস্তা বা সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কাজে আসছে না কারো।

এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলাজুড়ে।  

সেতুটির কাছে গিয়ে দেখা গেছে, বোদা উপজেলার ধরধরা ও আটোয়ারী উপজেলার ভাটিয়াপাড়ার মাঝে মরা টাংগন নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ছয় কোটি টাকার নতুন একটি সেতু। সেতুর একদিকে ভুট্টা-মরিচের ক্ষেত আর বসতবাড়ি, অন্যদিকে ছোট্ট একটি বাজার। স্থানীয়রা বলছেন, যাতায়াত সহজ করতে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সড়ক না থাকায় তা কোনো কাজে আসছে না। প্রায় সাড়ে তিন বছরে ৯৬ মিটার দীর্ঘ সেতুটির কাজ শেষ হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই। এবার বর্ষাতেও সেতুটি কোনো কাজে আসবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তাই যাতায়াতের সুবিধার্থে সেতুটির উভয় পাশে দ্রুত সড়ক নির্মাণের দাবি সবার।

স্থানীয় বাবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে দুর্ভোগের বিষয়, উভয় পাশে সড়ক নেই। একপাশে ছোট একটি রাস্তা ও বাজার থাকলেও অপর পাশে ভুট্টাক্ষেত।

একই কথা জানান সবুজ মিয়া। তিনি বলেন, রাস্তার পরিকল্পনা না করেই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি তৈরি হওয়ায় আমাদের উপকার হয়েছে। কিন্তু রাস্তার অভাবে দুর্ভোগ রয়ে গেছে। স্থানীয়রা সেতুর দুইপাশে বাঁশের সিঁড়ি বানিয়ে কষ্ট করে দুইপাড়ে যাতায়াত করেন।  

স্থানীয়রা বাংলানিউজকে আরও বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক করতে গেলে ভেঙে ফেলা হতে পারে স্থানীয়দের কয়েকটি বাড়ি। বর্ষাকালে কালভার্টের বিপরীতে প্রায় ছয় কোটি টাকার বাজেটে সেতু নির্মাণকে অপচয় বলছে সবাই। ছোট সেতু হলেও কোনো সমস্যা ছিল না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বলছে, ২০২১ সালের অক্টোবরে কাজ শুরু হয় ধরধরা সেতুটির। মাঝে একবার মেয়াদ বাড়িয়ে এ বছর শেষ হয় সেতুটির কাজ। সেতুটি নির্মাণের চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান বাংলানিউজকে বলেন, উভয় পাশের হাজারো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি। এখন সংযোগ সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।