ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীর বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২২
ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীর বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান

ঢাকা: অনুপ্রবেশকারীরা ছাত্রলীগে ঢুকে যেন কোনো বদনাম করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কাছে প্রত্যাশা তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

 

মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইরেশ যাকেরের নেতৃত্বে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাসের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। আওয়ামী লীগ গঠিত হওয়ার আগে ছাত্রলীগ গঠিত হয়েছিল। বয়সে আওয়ামী লীগের চেয়ে ছাত্রলীগ এক বছরের বড়। স্বাধীকার আদায় থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের যে অবদান তা জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পরেও ছাত্রলীগ দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে।  

যে কোনো ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগকে না জড়াতেও সবার কাছে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি মহল আছে যারা চুন থেকে পানি খসলেই সেটার সঙ্গে ছাত্রলীগের গন্ধ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কালিমা লেপনের যে চেষ্টা করা হয় সেদিকে ছাত্রলীগকেও যেমন সচেতন হতে হবে। একইসঙ্গে অনুরোধ জানাবো ছাত্রলীগের ওপর কালিমা লেপনের কোনো কোনো মহলের একটি মানসিকতা আছে, সেটি পরিহার করার জন্য।

সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপির মানববন্ধন বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মানববন্ধন-বিক্ষোভ এগুলো আজকে নতুন করে না। সরকারের প্রতি বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তারা এটি করে থাকে। এটি বিএনপির রুটিন ওয়ার্ক এবং বিএনপিকে সচল রাখার জন্য এটি দরকার আছে। আমরা চাই বিএনপি মানববন্ধন করুক।  

রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছেন। বিএনপি যে কথাগুলো বলে, সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েও বলতে পারে। কিন্তু সেটি না করে বাইরে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এ প্রক্রিয়াকে রাষ্ট্রপতি স্বচ্ছ করতে চাচ্ছেন। অনেক দেশে সেটা করা হয় না। আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ করার জন্য এবং অংশগ্রহণমূলক করার জন্য এই সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো আসলে গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে তারা যে বিশ্বাস করেন না, সেটাই প্রমাণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
জিসিজি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।