ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩২, ০৬ মে ২০২৫, ০৮ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচনের কথা বলা অপরাধ হলে বিএনপি এই অপরাধ করবেই: গয়েশ্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০৪, মে ৫, ২০২৫
নির্বাচনের কথা বলা অপরাধ হলে বিএনপি এই অপরাধ করবেই: গয়েশ্বর বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সংস্কারের গান শুনিয়ে আমাদের ঘুম পাড়িয়ে রাখবেন, আর নির্বাচনের কথা বললে আমাদের অপরাধ হবে? একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ১৭ বছর ধরে অপরাধ করে আসছি। যতদিন নির্বাচন না হবে, ততদিন বিএনপি এই অপরাধ করবেই।

সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট কর্তৃক আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, সংলাপ, সংস্কার ও আগামী নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য একেক সময় একেকটা ইস্যু তৈরি করেছে। ১৬ বছরে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াইশো ইস্যু তৈরি করেছে। সকালে একটা ঘটনা তৈরি করলো হৈচৈ পড়ে গেল, বিকেলে আরেকটা ঘটনা দিয়ে সেটা চাপা পড়ে গেল। একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। আর যারা সমালোচনায় অভ্যস্ত তারা কোনো কর্মে অভ্যস্ত না। তারা সমালোচনায় খুব পটু; তখন বলতো বিএনপি কী করে। তারা আসল ঘটনা থেকে দূরে রাখার জন্যই একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। আজ যারা আছে তারা কী সেটা অবলম্বন করতে পারে না? এজন্যই হঠাৎ করে একটা ইস্যু এসে গেছে সীমান্তে আরাকানের। আবার বলে না, বিষয়টা চূড়ান্ত না। তবে ভেতরে কিন্তু একটা আলোচনা আছে, ইচ্ছা আছে।  

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট যদি হাসিনা না পালিয়ে পদত্যাগ করতো, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া লাগতো। তাহলে এখন নির্বাচন কমিশনের দেড় দুই বছর সময় লাগছে কেন? তাদের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে এটাই নিয়ম। তাহলে কী প্রত্যেকটা সরকার পরিবর্তনের পর আমরা দুই বছর বসে থাকবো প্রস্তুতির জন্য? নির্বাচন কমিশনের কীসের প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা করছি?

গয়েশ্বর বলেন, আগে নির্বাচন পরে সংস্কার। আর নির্বাচনটাই তো বড় সংস্কার। কারণ চারটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে যা তা অবস্থা করে দিছে। সেখানে দাবিটা কী সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন। যার যার ভোট যে যে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। নিরাপদে দেবে। এই নির্বাচন ব্যবস্থার এটাইতো বড় সংস্কার। সুতরাং গণতন্ত্রতো সংস্কারের বিপক্ষে না। বরং একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে অন্যান্য সংস্কারগুলো করতে আমাদের একটি ভিত্তি স্থাপন হবে।  

তিনি আরও বলেন, সংস্কার অবশ্যই দরকার। কিন্তু বাস্তবতার নিরীক্ষেই আপনাদের সেটা করতে হবে। সময় নেই কিন্তু সংস্কার করতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না যেটা শেষ পর্যন্ত হবেই না।  

গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি। এর ফলে যে সুবিধাটা হয়েছে, অনেকেই ভেবে নিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে লেখা ও বলা সবচেয়ে নিরাপদ। সাংবাদিকরা আগে বলতো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যেত না, কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা হতো। তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নয়। সংবাদপত্রের মালিক বা প্রকাশকের স্বাধীনতাই মূল স্বাধীনতা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারী, প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী প্রমুখ।

ইএসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।