ঢাকা: দল ক্ষমতায় গেলে পরপর দুই মেয়াদের বেশি কাউকে প্রধানমন্ত্রী করবে না বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি জানান, আজকের বৈঠকের এজেন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত আলোচনা ছিল প্রথম এজেন্ডা। এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, আমাদের ৩১ দফার মধ্যে আছে পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। তবে বিরতি দিয়ে এরপর আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা আছে। সেসব আলোচনা চলমান।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত আলোচনাটি আগের দিনও তোলা হলেও মীমাংসিত না হওয়ায় আজকের আলোচনায় তা পুনরায় উত্থাপিত হয়। এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কী হবে, কারা তাকে নির্বাচিত করবেন এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের আলোচনা আবার এসেছে। কারণ ইলেক্টোরাল ভোটের বিষয়টি এখন চলমান।
এছাড়া বিএনপি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতেই চায় জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংসদে সরাসরি নির্বাচিত সদস্যদের পাশাপাশি উচ্চকক্ষের ১০০ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের ১০০ জন মিলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমরা ৭০ অনুচ্ছেদ ওপেন করেছি, তাই আমরা মনে করি সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সেখানে গোপন ভোট হতে পারে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত এখনো পেন্ডিং রাখা হয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব। তবে পিআর পদ্ধতিতে আপার হাউজে ভোট রাখা হলে অর্ধেক মেজরিটি পাবে না, তাই এটি আমরা সমর্থন করি না।
গত তিনদিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ দিতে গিয়ে বিএনপির এ নেতা জানান, ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদের স্থায়ী কমিটি, নারী আসন ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ- এ বিষয়গুলো নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বুধবারের আলোচনায় এনসিসি ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়, যেগুলোর এখনও সমাধান আসেনি।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, স্বৈরাচার ফরমেশন ঠেকাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করতে হবে। এটা করতে পারলে তখন আর এনসিসি গঠন করা লাগে না।
এসবিডব্লিউ/জেএইচ