ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাবেক এমপি পাপুলের সহযোগী গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২২
সাবেক এমপি পাপুলের সহযোগী গ্রেফতার

ঢাকা: মানবপাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে ৩৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের সাবেক এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের অন্যতম সহযোগী সাদিকুর রহমান মনিরকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বুধবার (২ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডির ফাইন্যানসিয়াল ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) হুমায়ুন কবির বলেন, গ্রেফতার সাদিকুর রহমান মনিরের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে রাজধানীর রাজারবাগ রূপালী ব্যাংকের শাখায় ৩৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

মনিরের হিসাব থেকে আরও ছয় জনের হিসাবে এসব টাকা বিভিন্ন সময় পাঠানো হয়। সাবেক এমপি পাপুলের হিসাবেও মনিরের হিসাব থেকে টাকা পাঠানো হয়। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, মানবপাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে এসব টাকা তার হিসাবে জমা হয়েছে। পাপুলের নির্দেশে এসব টাকা তার হিসাবে জমা পড়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।

সাদিকুরের এই হিসাব ছাড়াও আরও ৫৩টি হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, সেগুলোর বিষয়ে আমরা তদন্ত অব্যাহত রেখেছি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলকে আসামি করে সিআইডি একটি মামলাটি দায়ের করে। এই মামলাটি মানবপাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে ৩৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা হয়েছিল।

মামলার এক নম্বর আসামি সাবেক এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল বর্তমানে দেশের বাইরে কারাগারে রয়েছেন। মামলায় মানবপাচারকারী চক্রের যার সহায়তায় তিনি এ টাকাগুলো ট্রান্সফার করেছেন সেই ব্যক্তিকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। পাপুলের কী ধরনের সম্পত্তি কুয়েতে রয়েছে সে বিষয়ে জানতে আমরা সে দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।

এসএসপি হুমায়ুন কবীর আরো বলেন, কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সিআইডির পক্ষ থেকে কথা বলা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। চেষ্টা করছি, মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য।

আমাদের কাছে যতগুলো হিসাব সম্পর্কে তথ্য এসেছে সেগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে কিন্তু এর আগেই তারা সেসব হিসাব থেকে টাকা তুলে নিয়েছিল। ওই হিসাবগুলো থেকে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতার মনির যেসব তথ্য দিয়েছেন সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি।

কতজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে জানতে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। অনেকেই অনেকের মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে সংখ্যা বলা সম্ভব হচ্ছে না, কতজন ভুক্তভোগী। তবে পাপলুর দেশে কী ধরনের সম্পদ রয়েছে এ বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা,মার্চ ০৩, ২০২২
পিএম/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।