ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের হত্যা মামলার অভিযোগ মাথায় নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ নিয়ে তখন রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।
তার ফেরাকে ঘিরে এবার মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (৯ জুন) সকালে যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।
একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলা থাকা সত্ত্বেও এখনো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি— এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারাই (সাংবাদিক) বলেছেন, কিছু কিছু মামলা এখনো তদন্ত হয়নি। তদন্ত হওয়ার পরে যে দোষী হবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আপনারাই বলেছেন, নির্দোষরা যাতে সাজা না পায়। এজন্য আমাদের তদন্তটা করতে দেন। তদন্ত করার পর যেই দোষী হোক না কেন, কাউরেই আইনের বাইরে রাখা হবে না। তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। ’
ফৌজদারি মামলা যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে, তদন্তে প্রমাণ না হলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না— বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ওইভাবে প্রমাণিত না হলে কেন একজন নির্দোষ লোককে আমি সাজা দেব? দোষী যে হবে, তাকে আমরা শাস্তি দেব। এখন কিশোরগঞ্জের এদের ক্ষেত্রে উপদেষ্টাদের তিনজনের একটি কমিটি হয়েছে। উনারা একটি রিকোমেন্ডেশন দেবে। ওই রিকোমেন্ডেশন পাওয়ার পর ওনারা যদি দোষী হয়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর দোষী না হলে, ওনাদের যার যার জায়গায় ফেরত দেওয়া হবে।
এবার ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রত্যাশা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণে ছিল কি না— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। কারণ এখন পর্যন্ত আমি বড় ধরনের কোনো রিপোর্ট পাইনি। হ্যাঁ, রাস্তাঘাটে দুই একট দুর্ঘটনা ঘটেছে, এটা আমি না করবো না। কিন্তু ওই ধরনের বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুয়েকটা ছোট ধরনের চুরি-ছ্যাঁছড়ামি এগুলো তো হচ্ছেই। কিন্তু বড় কিছু ঘটেনি। এজন্য আমি মোটামুটিভাবে খুশি।
যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শনে এসে কী দেখলেন—জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আজকে এখানে এসেছি এদের (পুলিশ) সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এবং এদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা দেখতে। খাওয়া বিষয়ে এরা বলল, দুপুরে যে মেন্যু, রাতেও একই মেন্যু। কিন্তু দুইটা দুই ধরনের দাম। এজন্য আমি বলেছি, যেন দুইটার একই দাম হয়। পাশাপাশি একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য, যিনি খাবারটা তদারকি করবে। আরেকজন এসআই নিয়োগ দেওয়ার জন্য, যিনি থাকার ব্যবস্থাটা তদারকি করবে। ”
এসসি/এমজে