ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পিডিবির ৩ প্রকৌশলীকে ইউপি চেয়ারম্যানের মারধর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
পিডিবির ৩ প্রকৌশলীকে ইউপি চেয়ারম্যানের মারধর

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবি) তিন প্রকৌশলীকে বেধরক মারধরের ঘটনায় বিসকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাকির আহম্মদ বাবুলসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যুৎ বিভাগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে তারাকান্দা থানায় বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

এর আগে সোমবার (৩ এপ্রিল) উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের কাকনীকোনা ব্রিজ মোড় এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানান মামলার বাদি।

মারধরের শিকার প্রকৌশলীরা হলেন- বিউবো ময়মনসিংহের সহকারী প্রকৌশলী মো. সৈকত মাহমুদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আল-আমীন আজাদ এবং মাসুম পারভেজ রুবেল।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বাংলানিউজকে জানান, প্রকৌশলীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে বিসকা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাকির আহম্মদ বাবুলসহ দুই জনের নাম উল্লেখ রয়েছে, বাকি ১২ জন অজ্ঞাত আসামি।  

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এদিকে, প্রকৌশলীদের মারধরের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায় ইউপি চেয়ারম্যান শাকির আহম্মদ বাবুল এক প্রকৌশলীকে অশালিন ভাষায় গালমন্দ করে বুকে লাথি মারছেন। এ সময় চেয়ারম্যানের সহযোগীদেরকেও অপর দুই প্রকৌশলীকে বেধরক মারধর করতে দেখা যায়।  

মামলার বাদি জানান, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশে তিন সদস্যের একটি টিম পরিদর্শনে যায়। এ সময় কাকনীকোনা ব্রিজ মোড় এলাকার আবাসিক গ্রাহক মো. হাতেম আলীর বাড়িতে প্রিপেইড মিটার বহির্ভূত অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় হাতেম আলীর আবাসিক সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাকির আহম্মদ বাবুল এ অবৈধ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন না করতে বলেন। কিন্তু তার অনৈতিক তদবির না রাখায় চেয়ারম্যান ১০/১২টি মোটরসাইকেলে স্বদলবলে ঘটনাস্থলে এসে প্রকৌশলীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে।  

এ সময় তারা জব্দকৃত অবৈধ মিটার ও বিদ্যুতের তার ছিনিয়ে নিয়ে প্রকৌশলীদের গাড়ী আটকে রাখে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রকৌশলীরা আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসলে তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।  

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে জানিয়ে এই প্রকৌশলী বলেন, সরকারি দ্বায়িত্ব পালনে এ ধরনের ঘটনা নিন্দনীয় অপরাধ। আমরা ন্যায় বিচার আশা করছি।  

তবে হামলা ও মারধরের সত্যতা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাকির আহম্মদ বাবুল বলেন, গ্রামের মানুষ না বুঝে ভূল করে ফেলেছে। পরে আমি গ্রামবাসিদের থামিয়ে প্রকৌশলীদের নিরাপদে পাঠিয়েছে দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।