ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গোপন বৈঠক ও জামায়াত-শিবির সন্দেহে আটক ২০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
গোপন বৈঠক ও জামায়াত-শিবির সন্দেহে আটক ২০

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেতবাড়িয়া এলাকায় সুধী সমাবেশ ও বার্ষিক ভোজের আড়ালে জামায়াত-শিবির সন্দেহে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে ২০ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।  

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

স্থানীয় জাবালুন নূর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদরাসার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আলিম দাবি করেন, মাদরাসার ৪ জন শিক্ষক, কয়েকজন অভিভাবক ও সুধীজনসহ সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান থেকে ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ওই সমাবেশ থেকে জামায়াত-শিবির সন্দেহে ২০ জনকে আটক করা হলেও এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

জামায়াত-শিবিরের গোপন বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করে মাদরাসার পরিচালক আব্দুল আলিম বলেন, এখানে শুধু মাদরাসার বার্ষিক সমাবেশ আয়োজন করা হয়। তবে অনুষ্ঠানের মাঝপথে এসে পুলিশ বাধা দেয়। ফলে দুপুরের পর আমরা এখানে আর কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারিনি।  

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিক্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাবালুন নূর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদরাসার প্রধান শাখা বেতবাড়িয়ায় অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ, বার্ষিক ভোজ, দাতাদের জন্য দোয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাম করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছিল বলে খবর ছিল আমাদের কাছে।

তিনি আরও জানান, আটকদের কাছ থেকে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদী, আবুল আলা মওদুদীসহ কয়েকজনের জিহাদী বই পাওয়া গেছে।

এই বৈঠকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন দাবি করে ওসি আলমগীর জাহান জানান, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।  

আটকদের পরিচয় ও রাজনৈতিক পদ যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী ও বার্ষিক সভায় তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে তারা জামায়াত-শিবিরের উপস্থিতির বিষয়ে কিছুই জানেন না। পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। এর আগে দুপুরের দিকে নারী ও শিশুদের অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেয় পুলিশ।  

এর আগে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে সুধী সমাবেশ ও বার্ষিক ভোজ চলাকালীন পুরো এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রওশন আলী, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।