ঢাকা, শুক্রবার, ১ কার্তিক ১৪৩২, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

আইন ও আদালত

আলাদা বিচার করলে কেয়ামত পর্যন্ত শেষ হবে না: আসিফ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৭, অক্টোবর ১৬, ২০২৫
আলাদা বিচার করলে কেয়ামত পর্যন্ত শেষ হবে না: আসিফ  বাংলানিউজ ফাইল ছবি

বিগত ১৭ বছরে যত গুম-খুন হয়েছে তার প্রত্যেকটা ভিকটিমের জন্য যদি একবার করে বিচার করতে যান তাহলে এ বিচার কেয়ামত পর্যন্ত শেষ হবে না।

জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে পুলিশের গুলিতে ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) জেরা জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

জেরা শেষে সাংবাদিকরা উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন—চিফ প্রসিকিউটর আজকে বলেছেন, শেখ হাসিনার অপরাধের যে মাত্রা এবং ১৪০০ মানুষ হত্যা করেছেন, তাই ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। আপনারা একমত কি না।

জবাবে আফিফ মাহমুদ বলেন, ১৪০০ মানুষকে তো গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা করেছিল। কিন্তু বিগত ১৭ বছরে আরও কত হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, এর তো কোনো ইয়ত্তা নেই। এখন আমরা বিভিন্নভাবে তালিকা পাচ্ছি। এর আগে আমরা বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি। শত শত মানুষকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। অনেককে ফিরে পাওয়া যায়নি। আমরা আয়নাঘর প্রত্যক্ষ করেছি। সুতরাং প্রত্যেকটা ভিকটিমের জন্য যদি আপনি একবার করে বিচার করতে যান তাহলে এ বিচার কেয়ামত পর্যন্ত শেষ হবে না। আমরা এসব ভিকটিমদের পক্ষ থেকে এই মিসডিডগুলো যে শেখ হাসিনা বা যারা জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আশা করি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে।

জুলাই আন্দোলনে প্রধান কেউ ছিল কি না —এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের যে সমন্বয় কমিটি ছিল, সবাই সমমর্যাদার ছিল। প্রথম দিক থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা বাই রোটেশন লিডারশিপ সামনে নিয়ে আসব, যাতে করে ফ্যাসিবাদী সরকার শনাক্ত করতে না পারে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আন্দোলনের প্রয়োজেনে কয়েকজন হয়তো সামনে চলে এসেছেন, বাংলাদেশের মানুষ কয়েকজনকে বেশি জানেন বা কাউকে কম জানেন। তবে ফরমালি আমাদের সবার মর্যাদা সমান।

পুলিশ নিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, চানখারপুলে ৬ হত্যা মামলায় সেখানে কোনো পুলিশ নিহত বা আহত হয়েছিল কি না। সেখানে আমার জানামতে কোনো পুলিশ নিহত বা আহত হয়নি। সারা দেশে যেটা বলা হচ্ছে, সেটা অস্পস্ট। এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু আমার জানা নেই, সেটাই আমি আদালতে বলেছি।

এর আগে এ মামলায় প্রসিকিউশনের ১৯ নম্বর সাক্ষী হিসেবে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ ৯ অক্টোবর আংশিক জবানবন্দি দেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের সাবেক ৮ সদস্য এই মামলার আসামি। তাদের মধ্যে চারজন পলাতক। তারা হলেন—সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন—শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।

ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন ও আদালত এর সর্বশেষ