ঢাকা, শনিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৯ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ভারতের দাবি, তাদের বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রই হবে সেরা!

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫৮, জুলাই ৪, ২০২৫
ভারতের দাবি, তাদের বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রই হবে সেরা!

সম্প্রতি ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর থেকে শুরু হয়েছে বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমার বন্দনা। শত্রুপক্ষের হামলা থেকে বাঁচতে বিশেষ করে সামরিক স্থাপনাগুলো যেভাবে মাটির নিচে তৈরির প্রবণতা বাড়ছে, সেখানে এমন সব অস্ত্রের দিকে সবারই ধীরে ধীরে ঝোঁকার কথা।

কিন্তু ভারত অস্ত্রটি নিয়ে একটু আলাদাভাবে ভাবতে চাইছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমাটি সম্প্রতি ইরানে প্রথম ব্যবহার করা হল। দেশটির ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনার কথা মাথায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্র এটি উদ্ভাবন করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। বোয়িং কোম্পানির তৈরি জিবিইউ-৫৭/এ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর নামের এই বোমার ওজন ১৩ হাজার কেজি। এটি ২ হাজার ৪০০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক ওয়ারহেড নিয়ে আঘাত হানে। ২০০ ফুট চওড়া ৫ হাজার পিএসআই কংক্রিটের মতো শক্ত উপাদান অথবা ১৩০ ফুট চওড়া পাথরের স্তর অনায়াসে ভেদ করে বিস্ফোরণ ঘটায় ওই বোমা।

কিন্তু ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বিজয় উদযাপন করছিলেন, তখন তার দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এবং কয়েকটি প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলেছে, ফোরদো সম্ভবত ধ্বংস হয়নি। ক্ষতি হলেও তার পরিমাণ সম্পর্কে আছে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন।

তাছাড়া বোমাটি বয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করতে হয়েছে দানবের মতো বড় বি-২ বোমারু বিমান। এখন অনেক দেশের হাতে যে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে, সেসব মোকাবেলা করেই বিমানটিকে হামলা চালাতে হবে। এসবই মাথায় রেখে বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের কথা ভাবছে ভারত।

ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও তাদের ভূমি থেকে ভূমিতে ছোড়ার ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ দিয়ে একটি বাঙ্কার-বাস্টিং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। ৭ হাজার ৫০০ কেজি ওজনের ওয়ারহেড নিয়ে এটি ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে। অর্থাৎ, এটি মার্কিন বোমাটির চেয়ে তিনগুণ বেশি বিধ্বংসী হবে। এটি তৈরি হলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতের বোমারু বিমান দরকার হবে না।

অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রটি হাইপারসনিক গতিতে ছুটে পারে। মাক-৮ থেকে মাক-২০ পর্যন্ত এর সর্বোচ্চ গতি। ফলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একে আটকাতে পারবে না। এর ওয়ারহেডটি ৮০ থেকে ১০০ মিটার পুরু রিইনফোর্সড কংক্রিট বা মাটি ফুঁড়ে যেতে পারে। শত্রুপক্ষের কমান্ড সেন্টার, ক্ষেপণাস্ত্র সাইলো এবং পারমাণবিক মজুদের মতো সুরক্ষিত ভূগর্ভস্থ কাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করতে ক্ষেপণাস্ত্রটি ডিজাইন করা হচ্ছে।

সূত্র ইউরেশিয়ান টাইমস

এমএইচডি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।