ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের সঙ্গে বৈঠকের সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে নয়াদিল্লি। যদিও সংশ্লিষ্টরা কোনো ধরনের প্রমাণ প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানায়।
ঘটনার পর ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সীমান্ত যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। এর ফলে দ্রুতই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
গত ৭ মে ভারত পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তান একটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এবং একটি ইসরায়েলি ড্রোন প্রতিহত করে। এরপর ১০ মে ভারত পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালালে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’ পরিচালনা করে।
এ প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প দাবি করেন, তার কূটনৈতিক তৎপরতায়ই যুদ্ধ থেমেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের নেতৃত্ব খুবই শক্তিশালী। কেউ কেউ হয়তো এটি পছন্দ নাও করতে পারে, কিন্তু এটাই বাস্তবতা।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি দুই পক্ষকেই স্পষ্ট করে বলেছি—যদি যুদ্ধ করেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য হবে না। তার মধ্যস্থতায় ১০ মে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। পাকিস্তান পরে ট্রাম্পসহ চীন ও উপসাগরীয় দেশগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করে। পরে তিনি বলেন, আমি গর্বিত যে যুদ্ধ থামাতে পেরেছি। পাকিস্তান ও ভারতের নেতৃত্ব এই সংকট মোকাবেলায় দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
এমজে