লিওনেল মেসির জাদুতে দুই ম্যাচে জয়হীন থাকার ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল ইন্টার মায়ামি।
আজ (বাংলাদেশ সময়) সকালে ফোর্ট লডারডেলে নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনকে ৪–১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মায়ামি।
এই জয়ে ১৭ জয়, ৭ ড্র ও ৮ হারে মায়ামির সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫৯ পয়েন্টে—পূর্বাঞ্চলীয় কনফারেন্সে তারা এখন তৃতীয় স্থানে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিনসিনাটির চেয়ে মাত্র তিন পয়েন্টে পিছিয়ে।
মেসির এই পারফরম্যান্সে যোগ হলো নতুন এক কীর্তি। এটা তার মৌসুমে ৪১তম গোল কন্ট্রিবিউশন (গোল ও অ্যাসিস্ট)। এমএলএস ইতিহাসে তিনি এখন দ্বিতীয় খেলোয়াড়, যিনি এক মৌসুমে অন্তত ৪০টি গোল অবদান রেখেছেন; তার আগে এটি করেছিলেন কার্লোস ভেলা।
জর্দি আলবা ও তাদেও আলেন্দে দুজনেই জোড়া গোল করেন। অন্যদিকে নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনের (৯ জয়, ১৬ হার, ৮ ড্র, ৩৫ পয়েন্ট) এটি শেষ ছয় ম্যাচে পঞ্চম পরাজয়।
বৃষ্টিভেজা কঠিন পরিবেশে গোল না করেও ম্যাচের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন মেসি। ৩২ মিনিটে তার নিখুঁত থ্রু বল থেকে প্রথম গোল করেন আলেন্দে। বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে প্রতিপক্ষের ক্লিয়ারেন্স আটকিয়ে জর্দি আলবার পায়ে বল বাড়ান মেসি, আর সেই পাস থেকেই আসে মায়ামির দ্বিতীয় গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৯ মিনিটে নিউ ইংল্যান্ডের ডর টুরগেম্যান ব্যবধান কমান (২-১)। তবে মেসি যেন অপেক্ষাই করছিলেন প্রতিক্রিয়ার। এক মিনিটের মধ্যেই মাঝমাঠ থেকে বল এগিয়ে আলেন্দেকে পাস দেন তিনি, আর আলেন্দে গোল করে ব্যবধান ফেরান ৩-১ এ। মাত্র তিন মিনিট পর টেলাসকো সেগোভিয়ার পাস থেকে আলবার দ্বিতীয় গোল মায়ামিকে দেয় ৪-১ এর জয়।
ম্যাচ শেষে মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, 'মেসি আমাদের খেলার রিদমটাই বদলে দিয়েছে, প্রথম গোল, তারপর জর্দির গোল, এমনকি ওরা যখন ব্যবধান কমাল, সঙ্গে সঙ্গে সে যেভাবে অ্যাসিস্ট করল; এগুলো শুধু মেসিই পারে। তার ক্ষুধা ও আগ্রহ এখনো আগের মতোই তীব্র। '
মেসির এই পারফরম্যান্স শুধু মায়ামিকে শীর্ষ তিনে ফেরায়নি, বরং তাকে এমএলএস ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্লেমেকারের আসনে বসিয়েছে।
এমএইচএম