প্যারিসে গ্যালারিভর্তি দর্শকের সামনে ওসমান দেম্বেলে তুললেন তার প্রথম ব্যালন ডি’অর। ২৮ বছর বয়সে এসে তিনি স্পর্শ করলেন ক্যারিয়ারের শীর্ষে।
লুইস এনরিকের অধীনে পিএসজি’র হয়ে এক মৌসুমে জিতেছেন পাঁচটি শিরোপা (চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপিয়ান সুপার কাপসহ)। পরিসংখ্যানও চমকপ্রদ: ৫৩ ম্যাচ, ৩৫ গোল, ১৬ অ্যাসিস্ট।
এই স্বীকৃতি বিশেষভাবে অনুরণিত হলো আর্জেন্টাইন ফুটবলে। মায়ামি থেকে লিওনেল মেসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখলেন, ‘দারুণ ওসমান!!! অভিনন্দন, আমি তোমার জন্য ভীষণ খুশি। তুমি এর যোগ্য। ’
আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির এই প্রশংসা আলাদা তাৎপর্য বহন করে। বার্সেলোনায় খেলার সময় তিনি দেম্বেলের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
২০১৭ সালে ডর্টমুন্ড থেকে উঠে আসা তরুণ দেম্বেলেকে বার্সেলোনা কিনে নেয় ১৫০ মিলিয়ন ইউরোতে। সেখানে চার বছর ছয় মাস একসঙ্গে খেলেছেন মেসি-দেম্বেলে। ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করা দেম্বেলের পাশে ছিলেন মেসি—পরামর্শ দিয়েছেন, অভ্যাস গড়ে দিয়েছেন।
দেম্বেলে নিজেই বলেছেন, ‘প্রথম দিন থেকেই আমার মেসির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমার লকার ছিল তার পাশে। অনেক পরামর্শ দিতেন। আমার কাছে তিনি সেরা, অনন্য। গর্বিত যে তার সঙ্গে খেলতে পেরেছি। ’
২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তারা একসঙ্গে খেলেছেন ৯৫ ম্যাচ, প্রায় ৫ হাজার মিনিট। যৌথভাবে অংশ নিয়েছেন ১৫টি গোল-ইনভলভমেন্টে। দেম্বেলে পরে স্বীকার করেছেন, ‘তিনি বলেছিলেন, স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে সিরিয়াস হতে হবে। আমি খেয়াল করতে শুরু করি মাঠে তিনি কীভাবে সবকিছু করেন। ’
প্যারিসে পুরস্কার হাতে নিয়ে দেম্বেলে বলেন, ‘বার্সেলোনায় ইনজুরির মতো ভুল থেকে আমি অনেক শিখেছি। এখন আমি বেশি সিরিয়াস ও মনোযোগী, মেসির মতো মেন্টরের কারণে। এই ব্যালন ডি’অর প্রমাণ করে, অধ্যবসায়ের ফল মেলে। ’
যে মঞ্চে মেসি আটবার সম্মানিত হয়েছেন, সেখানেই দেম্বেলের ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত ধরা দিল। আর দূরে মায়ামিতে বসে সাবেক সতীর্থের সাফল্য উদ্যাপন করলেন মেসি—শুভেচ্ছা আর বন্ধুত্বের উষ্ণতায়।
এমএইচএম