ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে ব্যবস্থা গ্রহণে শুনানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে ব্যবস্থা গ্রহণে শুনানি

গাইবান্ধা: বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ‘ব্যাপক অনিয়ম’ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে শুনানি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন গঠিত তদন্ত কমিটি।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে গাইবান্ধা সার্কিট হাউজ হলরুমে প্রথম দিনের তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।

 

তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তার সঙ্গে রয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব যুগ্ম সচিব শাহেদুন্নবী চৌধুরী ও সদস্য যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস।

শুনানির প্রথম দিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফুলছড়ি উপজেলার ১১ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ৫৫ জন পোলিং এজেন্ট, গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালেব, ফুলছড়ি উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল সোবাহান ও ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কাওছার আলীসহ ১৩৬ জনের শুনানি গ্রহণ করবেন।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন ৫০টি, রিটার্নিং কর্মকর্তা একটিসহ মোট ৫১টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে।

পরবর্তীতে নির্বাচনের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এরপর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
 
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল।
 
সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০।
 
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া টানা নয় মাস ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষে গত ২২ জুলাই দিনগত রাত ২টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ কারণে তার আসনটি সংসদ সচিবালয় শূন্য ঘোষণা করলে নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।