ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩২, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:১৯, অক্টোবর ৭, ২০২৫
‘আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে’

ঢাকা: দেশে আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধ করতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জালিয়াতি ও লুটের কয়েকগুণ জরিমানা করতে হবে।

একইসঙ্গে জালিয়াতি ও লুটের অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে এবং প্রয়োজনে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থা তথা দুদক, বিএফআইইউ ইত্যাদির সঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সোমবার (০৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আয়োজনে ‌বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯’- এই দুটি আইনকে একত্রিত করে একটি আইন করা উচিত। একইসঙ্গে সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত বিষয়ে বিদ্যমান বিভিন্ন বুলসকে সহজবোধ্য করে একটি জায়গাতে আনলে এর মাধ্যমে সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়ার জটিলতা কমবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯’- এই দুটি আইনকে একত্রিত করতে কমিশন ইতোমধ্যে কাজ করছে এবং সমস্ত সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত বুলসকে এক জায়গায় আনতেও কাজ চলছে। অনিয়ম ও জালিয়াতি রুখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেই বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বল্পতম সময়ে বিগত সময়ের অনিয়ম ও জালিয়াতি তদন্তে ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছিল। উক্ত কমিটির পেশকৃত ১২টি প্রতিবেদনের মধ্যে কমিশন ইতোমধ্যে সাতটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, আদালতে রিট চলমান থাকায় ও স্থগিতাদেশ থাকায় কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন তথা এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন সম্পন্ন করা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ও বিজ্ঞ আদালতসহ সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি ও সহায়তা কামনা করেন তিনি। এছাড়াও দেশের পুঁজিবাজারের কাঠামোগত ও টেকসই সংস্কার ও উন্নয়ন নিশ্চিতে বিএসইসি কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রাস্টি, কাস্টোডিয়ান ও সম্পদ ব্যবস্থাপক এর ভূমিকা ও দায়িত্বকে আরও সুসংহত করা হচ্ছে এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে স্বতন্ত্র পরিচালকদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের জন্য কমিশন কাজ করছে বলে জানান তিনি। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ রুখতে বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের সব ব্রোকারদের অসংশোধনযোগ্য সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যারের আওতায় এনেছে। তিনি দেশের পুঁজিবাজারে টেকসই উন্নয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়ন এবং উন্নত পুঁজিবাজার গড়তে সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বিএসইসি কমিশনার মো. আলী আকবর বলেন, প্রতি বছরের মতো আয়োজিত এই ‍‍‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ এর এবারের প্রধান প্রতিপাদ্য হলো Technology and Digital Finance, Artificial Intelligence, and Fraud and Scam Prevention যার মধ্যে থেকে বিএসইসি Fraud & Scam Prevention থিমকে বেছে নিয়েছে।

অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জিসান হায়দার এবং আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ ইয়াওয়ার সাইদ।

অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং ব্যারিস্টার কারিশমা জাহান।  

এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।