ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অক্সিজেন মোড়ের নাম ‘গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী চত্বর’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
অক্সিজেন মোড়ের নাম ‘গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী চত্বর’ বক্তব্য দেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম: নগরের অক্সিজেন মোড়কে হজরত গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী চত্বর নামকরণের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে আন্দরকিল্লার কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চসিকের ৬ষ্ঠ পরিষদের ১৩তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নামকরণের প্রস্তাব দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

এ ছাড়া নগরের লাভ লেনের আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ চত্ত্বর ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক মরহুম অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ চত্বরটি দৃষ্টিনন্দন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেন মেয়র।

তিনি বলেন, আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন সর্বাপেক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিষয়টি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুধাবণ করেছেন বিধায় চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। এজন্য চসিকের মাধ্যমে যেসব প্রকল্প ও ধারাবাহিক কাজ চলছে সে কাজগুলো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। চসিকের মূলত তিনটি কাজ- নগরের পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন ও রাস্তাঘাট সংস্কার। এজন্য নগরবাসী চসিককে কর দিচ্ছে। তাই এই মৌলিক কাজগুলোতে কোনো অবহেলা করা চলবে না। যদি অবহেলা দেখা যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের পরিচালনায় বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিকসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলররা। বিভিন্ন সংস্থা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল হাসান, এলজিইডি চট্টগ্রাম’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাসাউর, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স’র সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলী, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, ওয়াসা’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইফতেখার উল্লাহ মামুন, ডিপিএইচই’র এসডিও ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম মোর্শেদ।

মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতাকে নগরবাসী নগরীর প্রধান সমস্যা বলে মনে করছেন। এ সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খাল ও নালা যেভাবে ভরাট করা হয়েছে তা অপসারণ করতে চসিক বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। তারা এপ্রিল মাসের ১ম সপ্তাহের মধ্যে ভরাট হওয়া খাল নালাগুলো পরিষ্কার করবে বলে চূড়ান্ত কথা দেন। আমরা আশা করব, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা তাদের কথা রাখবেন। যদি তারা ব্যর্থ হন তাহলে চসিক কোনো অবস্থায় জলজট ও জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর ভোগান্তি মেনে নেবে না।  

তিনি এপ্রিলের পর যে খালগুলো ভরাট করা হয়েছে তাতে গাইডওয়ালের কাজ শেষ হোক বা না হোক তা পরিষ্কার করে দিতে হবে বলে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন।

মশার উপদ্রবের ভোগান্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, মশক নিধনের জন্য আলাদা একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওষুধ ছিটানোর কাজটি যথাযথভাবে করা হচ্ছে কি না তা তদারকির জন্য বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নিতে হবে।  

সিটি করপোরেশনের যে যানবাহন আছে তার মধ্যে সচল, অচল এবং মেরামতযোগ্য যানবাহনের তালিকা প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মেয়র।

তিনি সৌন্দর্যবর্ধনের নামে চুক্তি লঙ্ঘন করে যারা বিলবোর্ড ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে তাদের রিপোর্ট প্রস্তুত করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে দেওয়ারও নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।